দারোগা রবি চৌহানকে চিনেন না নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে এমন কম মানুষই আছেন । সেই রবি চৌহান দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে কন্সষ্টেবল থেকে এএসআই, এএসআই থেকে এসআই (দারোগা) পদে পদোন্নতী পেয়ে সেই নারায়ণগঞ্জেই কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেছেন । সেই রবি চৌহানের পুত্র দীপ চৌহান শনিবার রাতে নগরীর চাষাড়া জামতলা এলাকায় ছিনতাইকালে জনতার হাতে পাকড়াও হয়ে গণপিটুনী খেয়েছেন ।পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে ।
এমন ঘটনার দুই দিন পর সোমবার (৯ মে) সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দারোগাপুত্র দিপ চৌহান জামিন নিয়ে রোববার বিকেলেই বাড়ি ফিরে গেছেন । এমন ঘটনায় পুরো নগরীতে চলছে ব্যাপক সমালোচনা
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার জামতলায় মাজহারুল ইসলাম সোহাগ (৩৮) নামক এক যুবক কে মারধর করে পালিয়ে যাবার পথে পুলিশ কর্মকর্তার পুত্র দীপ চৌহান (২১) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় রবিবার (৮ মে) জামতলা হাজী বার্দাস রোডের মৃত হাজী ইউনুসের পুত্র ভুক্তভোগী যুবক সোহাগ বাদী হয়ে আটককৃত দীপ চৌহান ও জাহিদ (১৮) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃত দীপ চৌহান ফতুল্লা থানার জামতলা ধোপাপট্টির ময়নার বাড়ীর ভাড়াটিয়া পুলিশের এসআই রবি চৌহানের পুত্র।
বর্তমানে রবি চৌহান রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছে। এই মাসেই সে নারায়নগঞ্জ জেলার সদর থানা, ফতুল্রা থানা,নিারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ, সিআইডিসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন শাখায় চাকরী করেছে । এবার বর্তমান কর্মস্থল থেকে পরিবর্তন হয়ে নারায়ণগঞ্জে ফের যোগদানের কথা রয়েছে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা মতে, শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে স্থানীয় যুবক সোহাগ মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পায়ে হেটে বাসায় ফিরছিলো। এমন সময় গলির মোড়ে পৌছামাত্র তিন চার যুবক তার পথরোধ করে সোহাগ কে গালমন্দসহ তাকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দ্যেশে তার গলায় ছুরি ধরে। এ সময় সোহাগ ডাক- চিৎকার করলে স্থানীয়বাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেস্টা করে। এ সময় দীপ চৌহান নামক একজন কে আটক করতে সক্ষম হয় স্থানীয়বাসী। তবে সহোযোগিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এমন ঘটনায় রাতেই নগরীতে প্রচার হয় নগরীর পরিচিত দারোগা রবি চৌহানের পুত্র দীপ চৌহান হাতেনাতে জনতার হাতে আটক হয়ে পুলিশের কাছে রয়েছে । রাতেই ফতুল্লা থানা পুলিশ হামলার শিকার মাজহারুল ইসলাম সোহাগ কে নানাভাবে ভয়ভীতি দেকিয়ে মামলা না করার জন্য চেষ্টা চালায় । এমন ম্যানেজের ঘটনা আবার ব্যাপক প্রচার হলে ঘটনা কে ছিনতাই কর্মকান্ড না দেখিয়ে দ্রুত মুক্তি পেতে একটি দায়সারা মামলা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয় আসামী দীপ চৌহান কে ।
আর মামলার বাদী নিজের ভোল পাল্টে আসামী তার পূর্ব পরিচিত এবং সামান্য কথা কাটাকাটিতে এমন হয়েছে বলে দাবী করে মামলা চালাবে না বলে গণমাধ্যমের কাছে বক্তব্য দেয় । আর বাদীর শক্ত আবস্থান না থাকায় ছিনতাই কান্ড মারামারিতে রূপান্তরিত হলে মামলা থেকে সহসাই জামিন নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে আসে দীপ চৌহান ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, রাতে দীপ নামক এক যুবক কে আটক করে স্থানীয়বাসী পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে সোহাগ নামক এক যুবক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।









Discussion about this post