“২০০১ সালে বিপর্যয় হয়েছিল। তখন অনেককেই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। বিপর্যয় নামলে কী হবে তা চিন্তা করা মুশকিল। আমরাতো আর পালাতে পারব না। আমাদের এখানেই মার খেতে হবে। আজ একজন বিপদগ্রস্ত হলে আমরা তার পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। দলের নেতা হয়ে চাঁদাবাজি মাস্তানি করব এটা হবে না। আজ খারাপ লোকেরা ঐক্যবদ্ধ, ভাল মানুষেরা বিভক্ত। আসুন এ নির্বাচনে মোকাবিলা করার জন্য কাজ করি। সকলের কাছে অনুরোধ বিভ্রান্ত হবেন না। দল এগিয়ে আসলে আমরা এগুতে পারব ।”
এভাবেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন উল্লেখিত মন্তব্য করেন ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ আমাদের নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আজকের এ দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। এসে বলেছিলেন আপনারাই আমার মা আপনারাই আমার ভাই। সেদিনটি একটি স্মরনীয় দিন ছিল। আমি তখন ছাত্রলীগের সভাপতি। সেদিন শত শত ট্রাক নিয়ে সংবর্ধনা দিতে গিয়েছিলাম। নেত্রী আমাদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানালেন। তিনি সেদিন খোলা ট্রাকে উঠে ধানমন্ডি গেলেন তার গাড়ির চারপাশে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ছিল। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন জাতির জনক চলে গেছেন। তার স্বপ্ন অসমাপ্ত। আমি তার স্বপ্ন পূরণে আপনাদের সহায়তা চাই। আজ জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী না হলে বঙ্গবন্ধুর বিচার পেতাম কিনা জানি না, এ দেশ এত উন্নত হত কী না জানি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই বলি ৭৫ সালের আগে আমরা যকন ছাত্র নেতা তখন দেখতাম বঙ্গবন্ধু চতুর্দিক থেকে বেষ্টিত থেকে বলত এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। আমাদের মত সাধারণ কমীরা তাদের জন্য ঢুকতে পারিনি। আমরা ভয় পেতাম। বঙ্গবন্ধু বলতেন আমি চাল ডাল ভিক্ষা করে আনি তারা লুটেপুটে খায়। এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছিলেন হায়েনারা দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে। আমি যদি আবার যুদ্ধের ডাক দেই তোমরা থাকবে না। তারা হ্যা৷ বলেছিল। আমরা আজও সেই একই দৃশ্য দেখছি। জাতির জনকের কন্যা অনেক কাজ করছেন কিন্তু তা বৃথা হয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা তার উন্নয়ন প্রচার করতে পারছি না। আমরা নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত। আমরা একজন আরেকজনকে পিছুটান দিয়ে রাখি। একজন আরেকজনকে নেতা হতে বাধা দেই।
আনোয়ার বলেন, শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতো চায়। কিছুদিন আগে মীর্জা আজম বললেন সৎ নেতৃত্বকে ঘর থেকে বের করে এনে নেতৃত্ব দিতে হবে। তবে তার লক্ষন দেখছি না। শেখ হাসিনার কাছে সব মেসেজ যায় না।
তিনি বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিতে পারে না। সেখানে বিএনপি, হেফাজত থেকে প্রার্থী এনে দাড় করাতে হয়। আর তারা নির্বাচিত হয়ে বলে নৌকা না হলে আরও বেশি ভোট পেতাম। আজ বন্দরে আমাদের নেতারা মার খাচ্ছে। তাদের বাড়িঘর লুট করা হচ্ছে। আর সেখানকার আওয়ামী লীগের নেতারা হাওয়া খায়। শেখ হাসিনা রাতদিন আওয়ামী লীগের জন্য দেশের জন্য কাজ করছে। তার সকল কাজ আমাদের মত কিছু নেতার জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসুন নিজেদের শুধরাই। দল বাচলে আমরা বাচব।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাড়াতে হবে। এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিবে আমরা তার পক্ষে আছি তার পক্ষেই থাকব। আমরা বিগত দিনে নৌকা ছেড়ে লাঙ্গলের জন্য কাজ করেছি। ব্যালট ছিনতাই করে লাঙ্গলের প্রার্থীদের বিজয়ী করেছি। এটা যদি না থামানো যায় তাহলে সমস্যা হবে। আজ যদি নির্বাচন হয় এ পরিস্থিতিতে আমাদের জয়লাভ করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই দলকে সংগঠিত করতে হবে। আজ নেতায় নেতায় কর্মী কর্মীতে ঐক্য থাকতে হবে। আনোয়ার, আইভী, শামীমের স্লোগান চাই না। কারন শেখ হাসিনা বাচলে আইভী, শামীম, আনোয়ার বাচবে। আজকে সংগঠনকে প্রাধন্য দিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, মহানগরের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ কামাল দেওয়ান, সহ দপ্তর সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী, ত্রাণ ও পূণবার্সন বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান, কার্যকরি সদস্য ও কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ইউসুফ মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর কবির হোসাইন, উত্তম কুমার, শামীম খা, শাহাজাহান খোকন, আনিস আহম্মেদ, মোশাররফ হোসেন জনি, অ্যাডভোকেট সিরাজুল মামুন, আমির হোসেন, সোহরাব, শাহজালাল জালু, জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক এপন, আলী হাসান সজীব, মহিলা যুবলীগ আহবায়িকা নুরুন্নাহার সন্ধ্যা ও ফারিয়া আহম্মেদ নীলা প্রমুখ।









Discussion about this post