এ যেন পৈত্রিক সম্পত্তি । শহরে বঙ্গবন্ধু সড়ক মাত্র কয়েক কিলোমিটার ফুটপাত দখলকারী সোহেল যেন নগরীর সড়কের মালিকানা পেয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে। চাঁদাবাজ সোহেল যেন এই শহরের বিশাল কর্তা । পুলিশ ও র্যাবের নাকের ডগায় বছরের পর বছর জুড়ে সোহেল ও তার বাহিনীর চাঁদাবাজি চলছে পুরোদমে। মেয়র, এমপি, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নগরীর কর্তা ব্যাক্তিরা যেন অসহায় এই পুচকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ সোহেলের কাছে ।
নগরীর পুরাতন কোর্ট এলাকায় সড়কে বিশাল চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেলোনা কালিবাজারের ফুটপাতে দোকানদাররাও । চাঁদাবাজি ছাড়াও নানা অপকর্মের তো করছেই ফুটপাতে চাঁদাবাজ সোহেল বাহিনীর।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটপাত দখল করে বসেছে কয়েক হাজার অবৈধ দোকান যা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে নারায়ণগঞ্জবাসী যাতে ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু অপর দিকে শহরের কালি বাজার এলাকায় রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে ৩’শ বেশি দোকানপাট যা শহরবাসীর গলার কাঁটা হিসেবে পরিচিত।
কালিবাজার, ফ্রেন্ডস মার্কেট, ডাকবাংলো, র্যাব অফিসের কার্যালয়, শিল্পকলা একাডেমী, পুরান কোর্ট সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংক, সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ভবন এখানে অবস্থিত রাস্তা উপরে যেসকল দোকানপাটের জন্য সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার।
এসকল দোকান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফুটপাতে বসানো দোকান থেকে চাঁদাবাজ সোহেল ও তার বাহিনী।
প্রতিদিন একটি দোকান থেকে ৩০/১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয় দোকানের মাপ বুঝে। যা নাকি সোহেল নিজে নেয় আবার লোক দিয়েও চাঁদা উঠান। কালিবাজার এর এক দোকানদার এর সাথে কথা বলে জানাযায় সোহেল আগে এখানে ভ্যানগাড়ি করে ১৫টাকার ইযারফোন ।
৫ টাকার কটনবার,বাচ্চাদের ছোট খেলনা এসব বিক্রি করতো কিন্তু সোহেল এখান কার ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলে এখন কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ফুটপাতের চাঁদাবাজির ভাগ নেন নারায়ণগঞ্জ শহরের সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা, আওয়ামীলীগ নেতা, সদর থানা, চাষাড়া ফাঁড়ির পুলিশ, কথিত সাংবাদিক, নাসিক কর্মচারী গোবিন্দসহ আরো অনেকে।
এমন অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ করে চাঁদাবাজ সোহেলের পরিবারের ঘনিষ্ট সূত্র নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, সোহেল নিজে এই চাঁদাবাজির টাকায় নগরীতে শ্বশুর বাড়ি থেকে জমি পেয়ে সেই জমির পাশে আরো জমি ক্রয় করে বহুতল ভবন তৈরী করেছে । আর লোকজনকে দেখানোর জন্য সোহেলের স্ত্রী দোকানদারী করে বলে প্রচার চালায় । কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা, আওয়ামীলীগ নেতা, সদর থানা, চাষাড়া ফাঁড়ির পুলিশ, কথিত সাংবাদিক, নাসিক কর্মচারী গোবিন্দসহ মহানগর যুবলীগের এক নেতার পরোক্ষ শেল্টারে বীরদর্পে সকল প্রশাসনিক কর্তাদের নাকের ডগায় চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে । এক চাঁদাবাজ সোহেলের এমন অপকর্ম দেখলেই সহজেই অনুমান করা যায় এই নারায়ণগঞ্জ মগের মুল্লুক ।









Discussion about this post