দুর্দান্ত প্রভাবশালী শত শত কোটি টাকার কর্ণধার, ইচ্ছে করলেই যে কেউ তার সাথে দেখা করতে পারেন না ! কমপক্ষে ১০ জনের জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রীন সিগনাল পেলে সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, যিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ শাহজাহান। যিনি শাহ ফাতেহ উল্লাহ স্পিনিং মিলের কর্ণধার । যাদের ভয়ে হাজার হাজার কর্মচারী ও ফতুল্লার অনেক রাঘববোয়াল এক ঘাটে জল খায় । সেই মোহাম্মদ শাহজাহানের অসংখ্য অপকর্মের ফিরিস্তি প্রকাশ হয়েছে নানাভাবে ।
যিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ী, অফিস ও বাড়ির প্রতিটি কক্ষেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করা, চারিদিকে কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনী ছাড়াও রাজকীয় কায়দায় চলাচল করা সেই লম্পট, প্রতারক, শিক্ষার্থীদের অর্থ লুন্ঠনকারী মোহাম্মদ শাহজাহান এখন লোহার খাঁচায় বন্দি।
থানা হাজত ও আদালতের হাজত খানায় বন্দি থাকা অবস্থায় ফতুল্লার সেই শাহজাহান তার রোববার রাতে ও সোমবার দুপুরে তার আইনজীবীকে বলেন, “যে কোন মূল্যে জামন করাতেই হবে।”
ফতুল্লায় মোহাম্মদ শাহজাহানের অসংখ্য অপকর্মের ফিরিস্তি প্রকাশ হওয়ায় পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ধিক্কার । মোহাম্মদ শাহজাহান লোহার খাঁচায় বন্দি হলেও এই পরিবারের সকলেই মুখ লুকাচ্ছেন এমন অসংখ্য অপকর্মের কারণে

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ আত্মসাতের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
শাহবাগ থানা পুলিশ সোমবার চার আসামিকে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করলে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে চার আসামিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদেরও অনুমতি দিয়েছেন বিচারক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলার এই চার আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
আগাম জামিন চেয়ে তারা হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। দুই দিন শুনানি করে রোববার তা সরাসরি খারিজ করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে আদালত।
সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে বিচারিক আদালতে হাজির করতে শাহবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেয় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর করা এ মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডের ওই চার সদস্য ছাড়াও চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
“অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে আসামিরা মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।”
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।









Discussion about this post