সদর থানার আলীরটেকে অটোরিক্সা চালক সিয়াম এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলায় আরো দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
২২ মে মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী আলদি বাজার থেকে নৃশংস হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহনকারী আসামী জুম্মানকে (১৮) নিহত সিয়ামের অটোরিক্সা উদ্ধারসহ এবং ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে মোঃ হাসানকে (১৯) গ্রেফতার করে র্যাব।
২৩ মে সোমবার র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় নিহত সিয়াম একজন অটোরিক্সা চালক। প্রতিদিনের মত সে ১৩ মে তার অটোরিক্সা নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হলেও অন্যান্য দিনের ন্যায় সন্ধ্যায় সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এতে তার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। নিখোঁজের ৪ দিন পর ১৭ মে রাতে গঞ্জকুমারিয়ায় এিকটি ইটভাটার সামনে ওই মরদেহ পাওয়া যায়।
গত ১৮ মে রাতে নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
আসামীরা হলো, রাধানগর নেংটারবাড়ী এলাকার নূরে আলমের পুত্র ইয়ামিন (১৯), আলীরটেকের জিয়ার পুত্র নবী হোসেন (১৮), পুরান গোগনগরের জনু মিয়ার পুত্র জুম্মান (১৮)। ২০ মে আলীরটেক এলাকা থেকে মামলার দুই আসামী ইয়ামিন (১৯) ও নবী হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করে র্যাব-১১ এর একটি টিম। ২২ মে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় সিয়াম হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইয়ামিন (১৯)।
২২ মে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এই নৃশংস হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহনকারী আসামী জুম্মান (১৮)’কে মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী আলদি বাজার থেকে নিহত সিয়ামের অটোরিক্সা উদ্ধারসহ এবং মোঃ হাসান (১৯)’কে ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে তারা দুজন ও অন্যান্য আসামীরা পরষ্পর যোগসাজসে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সিয়ামকে খুন করে অটোরিক্সাটি নিজেদের দখলে নেয় এবং গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামী জুম্মানের দেওয়া স্বীকারোক্তি ও দেখানো মোতাবেক মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী আলদি বাজার থেকে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।









Discussion about this post