আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দুই বেলা ঠিকমতো খাওয়ার পরিস্থিতি নেই। একই সঙ্গে সরকারি বাহিনীর মাধ্যমে লুটপাট ও সন্ত্রাস চলছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে নগরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আবদুল্লাহ আল নোমান। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা কটূক্তি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সহ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আতাউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আওলাদ হোসেন, , জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।
অনির্বাচিত সরকার জোর করে দেশ চালাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এখন এক দফা এক দাবি, জনগণ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়। এই দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে জনগণ। বিএনপি উঠে গেলেও রাস্তায় থাকবে জনগণ। দেশের মানুষ দেশ গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আবদুল্লাহ আল নোমান আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এবারের ভোট রাতে নয়, দিনে হবে। অর্থাৎ, ভোট যে রাতে হয়েছিল, সেটা সিইসি স্বীকার করেছেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর কর্তৃত্ব আরও বাড়াতে হবে, সহনশীলতা বাড়াতে হবে। অন্যান্য দলের নেতারা আমার-আপনার মতো ভূমিকা রাখতে পারবেন না। সুতরাং আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।








Discussion about this post