নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন লালখাঁ এলাকার গ্রামবাসীর মনের মধ্যে বইছে এক আতংক। আর সেই আতংকের নাম হলো অত্র এলাকার ইবু মিয়ার ছেলে সজল। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে প্রায় ভয়ে ভয়ে জীবনযাপন করছে এই এলাকার বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য সজলের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অস্ত্রের ছবি সহ সংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদ প্রচারের পর থেকেই লালখাঁ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এর লুকিয়ে রাখা অস্ত্র প্রশাসন জব্দ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করবে। তাই এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ও লুকায়িত অস্ত্র উদ্ধার করার আহবান জানান।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানা যায়, ইবু মিয়ার ছেলে সজল বিন ইবুর কাছে অবৈধ অস্র আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অস্ত্রের ছবি সহ সংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদ প্রচারের পর থেকেই উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা সহ কিশোরগ্যাংয়ের একটি বড় চক্রের মূল হত্যা এই সজল। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম ও অপরাধ সংগঠিত করে আসছে এ সজল।
কে শেল্টার দিচ্ছে তাকে ?
অনুসন্ধানে তার বাবা ইবু মিয়া, চাচা ডালিম , আবুল তাদের পুরো পরিবারকে সেল্টার দিচ্ছে যুবলীগের কথিত নেতা জুট সন্ত্রাসী আজমত। আজমতের সেল্টার পেয়ে তারা একটি গ্যাং বা সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে নানা অপকর্ম করে আসছে র্দীঘদিন। বাবা-ছেলে মিলেই একটি বিশাল গং পরিচালনা করছে সয়ংক্রয় সন্ত্রাস বাহিনী। তাদের সন্ত্রাস বাহিনীর অন্যতম সয়ংক্রিয় সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সদস্যরা হলো হাসান, সাদ্দাম, সেলিম, কবির, বাবু , আতিক, সচিব, সোলেমান, রাজু প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যাক্তি বলেন, আজমতের শেল্টার পেয়ে সজল ও ওর বাবা ইবু তাদের সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে এলাকার মধ্যে মাদক ব্যবসা সহ যবরদস্তি করে অসহায় মানুষের জমি দখল করে। এলাকার মানুষের উপর জোর-জুলুম করে প্রভাব বিস্তার করে।
এলাকার একজন ব্যবসায়ি বলেন, প্রশাসন যদি এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছ থেকে তাড়াতাড়ি অস্ত্র জব্দ না করে তাহলে এলাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদি এলাকায় কোনো প্রকার দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে এই দূর্ঘটনার দায়ভার কে নিবে। এ বিষেয়ে পুলিশ জনিয়েছে, কিশোর গ্যাং, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে। যারাই অপরাধে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।









Discussion about this post