আলটিমেটামের দুই দিনের মধ্যে সালাম-শুভেচ্ছার ব্যানার ফেস্টুন খুলে না ফেলায় শ্রমিক লীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। একই সময় নেতার হাতে থাকা সোয়া এক ভরি ওজনের স্বর্ণের ব্রেসলেট ও পকেট থেকে ১৭ হাটার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
শনিবার রাত ৯টায় ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিন গভীর রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫ কিশোরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন মারধরের শিকার শ্রমিক লীগ নেতা মিজানুর রহমান রনি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর বড়বাড়ী এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মিজানুর রহমান রনি (৪২)। তিনি ফতুল্লা থানা শ্রমিক লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কল্যাণ সম্পাদক। সম্প্রতি রনি দলীয় পদ ব্যবহার করে মাসদাইর কবরস্থানসহ এলাকার বিভিন্ন সড়কে সালাম-শুভেচ্ছার ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়ে দেয়।
এতে একই এলাকার কিশোর মাহফুজুর রহমান সিফাত, রিফাত, সাবু, সোহেল, শান্ত, আকাশ ও জিসানসহ ২০-২৫ জন পথরোধ করে রনিকে তার ব্যানার ফেস্টুন খুলে ফেলার জন্য দুই দিনের সময় দেন। আর নয়তো পরিণাম খারাপ হবে।
কিশোরদের দেওয়া আলটিমেটামের মধ্যে ব্যানার ফেস্টুন খুলে না নেওয়ায় শনিবার রাত ৯টায় শত শত মানুষের সামনে রনিকে তার বাসার সামনে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে কিশোররা। তখন রনির প্যান্টের পকেট থেকে ১৭ হাজার টাকা ও হাতে থাকা সোয়া এক ভরি ওজনের স্বর্ণের ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয় তারা।
রনি বলেন, কিশোররা এতই খারাপ যে, ভয়ে কেউ তাদের কোনো অপকর্মের প্রতিবাদ করেন না। মাসদাইর এলাকার কিশোররা বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া চলা ফেরা করেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তাই থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ কিশোরদের খুঁজছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









Discussion about this post