নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল থেকে এক সন্তানের জননী নুরতাজ (২৬) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা স্বামী আউয়াল হোসেন (৩২) ও নিহতের ভাসুর ফজলুর রহমান (৪০) কে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশে সোর্পদ করেছে।
শুক্রবার (৩ জুন) ভোরে বাবুরাইলস্থ শামছুল হকের বাসার শয়নকক্ষে থেকে ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃত স্বামী আউয়াল হোসেন সুদূর চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিন বেপারী ছেলে। নিহত নুরতাজ সদর মডেল থানার ২নং বাবুরাইল এলাকার শামছুল হক ওরফে দেন্দা মিয়ার মেয়ে।
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূ বড় ভাই শাকিল আহাম্মেদ বাদী হয়ে আটককৃত ঘাতক স্বামী আউয়ালসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে সদর মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর পিতা শামছুল হক ও অভিযোগের বাদী শাকিল জানান, গত ৭ বছর পূর্বে আমার মেয়ে নুরতাজকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিন বেপারী ছেলে আউয়াল হোসেন। পরে তাদের সংসারে আয়ান হোসেন নামে ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পাষন্ড স্বামী আউয়াল হোসেনের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারনে নুরতাজ তার স্বামীকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বসবাস করছে। আমার মেয়ের গায়ের রং কালো হওয়ার কারনে পাষন্ড স্বামী আউয়াল ও তার ভাই ফজলুর রহমান, বোন লাভলী, শিউলী ও স্বপ্না বেগম বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে ও আমার মেয়ের কাছে ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা না পেলে পাষান্ড স্বামী আউয়ালের উল্লেখিত ভাইবোনেরা আউয়ালকে অন্যত্র স্থানে বিয়ে করাবে বলে আমার মেয়েকে ও আমাদেরকে হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৩ জুন) রাতে যে কোন সময় আমার মেয়ে নুরতাজকে পরিকল্পিত ভাবে বিষাক্ত কিছু সেবন করিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা প্রচারের চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমিসহ আমার র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে শামছুল হক মিয়ার বাড়ির একটি শয়নকক্ষের মেঝে থেকে গৃহবধূর মৃতদেহটি উদ্ধার করি। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। আটককৃত স্বামী আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চরছে ।
এমন ঘটনায় নারায়ণগহ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনায় ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে । স্বামী ও ভাসুর কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, আসামী আউয়াল হোসেন (৩২) ও নিহতের ভাসুর ফজলুর (৳০) কে রহমান (৪০) কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।









Discussion about this post