যে কয়জন বড় জঙ্গি ধরা পরলো, তাদের নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পলাতক আসামিও নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরা পরেছিল। জঙ্গীবাদের শীর্ষ নেতা তামীম নারায়ণগঞ্জে ধরা পড়লো। যত বড় ধরনের জঙ্গি আছে তারা সবই নারায়ণগঞ্জের। ২১ শে আগষ্টের পলাতক আসামী সেও কিন্তু নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার হলো। তার মানে নারায়ণগঞ্জ তাদের একটা সেফ জোন।
এভাবেই জঙ্গিদের নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে বুধবার (১৫ জুন) রাতে এক ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে বোমা হামলার ঘটনার ২১ বছর উপলক্ষে এই ব্রিফিং করেন ।
শামীম ওসমান বলেন, ঢাকার খুব পাশে নারায়ণগঞ্জ। সারাদেশ যদি বডি হয় তাহলে ঢাকা হচ্ছে মাথা। মাথায় আঘাত করলে মানুষ দুর্বল হয়ে যায়। সে কারণে এখানে ওই ধরনের অফিসার নিয়োগ দেওয়া উচিত, যারা নিজ উদ্যোগে কাজ করবে। জঙ্গিদের ব্যাপারে যেন তাদের স্পেশাল ট্রেনিং থাকে। এখনও কিন্তু শেখ হাসিনা টার্গেট। তখনও ছিলেন টার্গেট। আর সেটা প্রমাণ হয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায়।
এসময় শামীম ওসমান বলেন, আগামীকাল বাঁচবো কিনা জানি না। বাংলাদেশকে সুন্দর রাখার জন্য জনগণকে সচেতন হওয়া দরকার। প্রশাসনকে সহযোগিতার করার প্রয়োজন আছে।
তিনি আরও বলেন, একজন এমপি হিসেবে নয় ভুক্তভোগী হিসেবে আমার দাবি, ভারত থেকে মুত্তাকিন ও মুরসালিনকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কোন কোন বড় শক্তি কিংবা কোন কোন বড় দল বা নেতা ছিলেন তা বেরিয়ে আসবে। এটা হওয়া উচিত।
বিএনপির সমালোচনা করে এই সংসদ সদস্য বলেন, আমি একটাই কথা বলেছিলাম সেদিন, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। আমার যখন জ্ঞান ফেরে তখন কানে শুনছিলাম না, কিন্তু আমি বলছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এই মামলা আমাদের ওপরই চাপানো হলো। আমাদের পরিবারের ওপরই চাপানো হলো। ওয়ান ইলেভেনের সময় পুনরুজ্জীবিত হলো এই মামলা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে গুরুতর আহত হন শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক মানুষ।









Discussion about this post