নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে ৮ মাসের শিশু সন্তানকে রেখে স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৯ জুন) দুপুর দেড়টায় ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শাহাদাত বিয়ে করে ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া এসপি মোক্তারের ছোট ভাই।
এ ঘটনায় গৃহবধূ লাকি আক্তার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শেখ রেজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
লাকি আক্তার জানান, তিনি টাঙ্গাইল জেলার জোয়াইর গ্রামের আব্দুল বাছেদের মেয়ে। ৩ বছর পূর্বে এসপি মোক্তারের ছোট ভাই শাহাদাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বর্তমানের সন্তানের বয়স আট মাস।
তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো শাহাদাত। নারায়ণগঞ্জে আমার আত্মীয় স্বজন কেউ নেই। অনেক সময় মারধরে আহত হয়ে বাসার গেটের সামনে রাত কাটিয়েছি। শাহাদাত কথায় কথায় তার ভাই এসপির দাপট দেখায়। আমার মত একটি নয় দশটি বিয়ে করে ছেড়ে দিলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলার কোন লোক নেই নারায়ণগঞ্জে। মারধর করে এ হুমকি দেয়। আগেও একাধিকবার আমাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। তখন থানায় গিয়ে পুলিশ এনে বাসায় উঠেছি। এবারো আট মাসের শিশু সন্তান রেখে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। শুনছি তারা নাকি আমাকে তালাক দিয়েছে কিন্তু আমি কোন কাগজপত্র পাইনি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই হাবিবুর রহমান জানান, শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শাহাদাতকে বাসায় পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
এমন ঘটনার পর এলাকার অনেকেই বলেন, পুলিশ এসে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করলেও এসপির ভাই জানতে পারার পর আর এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই ফতুল্লা থানা । উল্টো গৃহবধূ লাকি আক্তারকে কাবিনের দুই রাখ টাকা দিয়ে তালাক দিয়েছে বলে প্রচার করছে এসপি আক্তারের ভাই মোক্তার ও সাহাদাত। একই সাথে বাচ্চাসহ এই গৃহবধূ লাকি আক্তারকে তার বাবার বাড়ি টাঙ্গাইলে এই রাতেই মোক্তারের স্ত্রীকে সাথে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত কয়েকদিন যাবৎ এসপির ভাই সাহাদাত তার স্ত্রীকে একটি ঘরে আটকে রেখে দফায় দফায় মারধর করতো। মারধর সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূ লাকি আক্তার কৌশলে পালিয়ে থানায় এসে আইনী সহায়তা চেয়ে অভিযোগ করেন ।
এমন অভিযোগ ছাড়াও এসপি আক্তারের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও কেউ নানা হয়রানীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করে না ।









Discussion about this post