ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এমন ঘটনায় উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, উচ্ছেদ নামক আইওয়াস তো দেখতেছি দীর্ঘদিন যাবৎ। সড়ক ও জনপদ (সওজ) কি পরিমান দূর্ণীতি করতেছে তা কে না জানেন। ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে মাসোয়ারা আদায়সহ নানাভাবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ লুটপাটের আখড়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সড়ক ও জনপদ (সওজ) অফিসের পিয়ন / কেরানী থেকে বড় কর্তা কে দূর্ণীতি মুক্ত বলতে পারবেন ? সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন করে কেউ কেউ বলেছেন, এরা কি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন এই উচ্ছেদের পর আর দখল হবে না । এবং আবার এইখানে দখল হলে এর নেপথ্যে এই উচ্ছেদকারীদের কারো কোন কালোহাত থাকবে না ?
মঙ্গলবার দুপুরে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নয়াবাড়ির, বিসিক শিল্পনগরীর ১ ও ২ নং ফটকের উভয় পাশের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঢাকা জোনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান মিয়া। এসময় নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেনসহ সোনারগাঁ থানা ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে থাকে। সম্প্রতি বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নজরে এলে মঙ্গলবার এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান মিয়া জানান, কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বিসিক পর্যন্ত সড়কের দু’ পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও প্রায় ১০-১২টি বাস বাস কাউন্টার ভেঙে দেওয়া হয়। এতে সড়কের দুই পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার সওজের জমি উদ্ধার হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়।









Discussion about this post