প্রতিদিন হাজার হাজার অটো রিক্সা ও ইজি বাইক নানাভাবে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে প্রবল বাঁধা / বিধি নিষেধের পরও পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের নিয়মিত মাসোয়ারা ছাড়াও একেবারেই প্রকাশ্যে ১০/২০ টাকা হাতে গুজিয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে শহরে দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে । আর এই ১০/২০ টাকায় একজন পুলিশ সদস্যকে যখন ম্যানেজ করা যায় তখন আর এই অটো চালকদের ঠেকায় কে ? এমন মানষিকতা থেকে প্রতিনিয়তঃ পুলিশ সদস্যদের উপর অটো চালকদের অনেকেই হামলার ঘটনা ঘটাতে দেখা যায়। আর প্রায় প্রতিটি অটো চালক তাদের দারিদ্রতার অজুহাতের সুযোগ নিয়ে সকল ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । অতি সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের সামনেই নগরীর ২নং রেল গেইট এলাকায় যানজট সৃষ্টি করায় একটি ইজিবাইক আটক করে একজন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। প্রকাশ্যেই ওই পুলিশ কে ২নং রেল গেই চত্তরের সড়কে ফেলে মারধর করতে থাকে অটো চালক।
এমন ঘটনায় পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এসে অটো চালকের হামলার শিকার কন্সষ্টেবলকে উদ্ধরের পাশাশাশি অটো চালককে আটক করে । পরবর্তীতে পুলিশ ও বিশেষ পেশার নামধারী অপরাধীদের ব্যাপক তদ্বিরে হামলাকারী অটো চালককে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।
এ ছাড়াও ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে একজন অটো চালক পুলিশকে প্রকাশ্যেই মারধর করে পোষাক ছিড়ে ফেরার ঘটনা ঘটায় । এমন একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে অটো চালক নামধারী অপরাধীরা নগরীতে নানা ধরণের অপরাধ করেই যাচ্ছে অটো চালকরা । এই অপরাধীদের নেপথ্যে বিশেষ পেশার নামধীদের ব্যাপক তদ্বির আর ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন অসাধু সদস্য প্রতি মাসে মাসোয়ারা গ্রহণ করায় এই অপরাধীদের সাহসের মাত্রা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে
এমন একের পর এক অপরাধের ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে নাছির নামের কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্যকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগে তিন যুবককে আট্ক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে চাষাড়া থেকে মাসদাইর এলাকায় তুলে নিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন লালমনিরহাট সদর থানার ফাতান্ডারি এলাকার শহিদুলের ছেলে ও ফতুল্লা মডেল থানার জামতলার খোকনের ভাড়াটিয়া মিঠু (২০), মোফাজ্জলের ছেলে ও ফতুল্লা থানার জামতলার রব মিয়ার ভাড়াটিয়া জনি (১৮) ও একই থানা এলাকার আবুল কালামের ছেলে জহিরুল (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, চাষাড়ার প্রধান সড়কে পুলিশের হয়ে কাজ করছিলেন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য নাছির ট্রাফিক। শহরের ভেতরে যাতে অটোরিকশা বা ইজিবাইক প্রবেশ করতে না পারে এবং যানজট নিরসনে তিনি কাজ করছিলেন। দুপুরে একটি অটোরিকশায় করে আসা ৪-৫ জন যুবক তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে মাসদাইর গুদারাঘাট সংলগ্ন দেওয়াল ঘেরা ভূইয়ার বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান।
সেখানে নিয়ে গিয়ে নাছিরকে কাঠের টুকরো ও ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করা হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাছিরকে উদ্ধার ও তিনজনকে আটক করে।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান সবুজ ও রমজান নামের আরও দুই যুবক। আটক যুবকরা জানান, তারা সবাই অটোরিকশা চালক। তারা জামতলার নজরুলের গ্যারেজের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে আসছিলেন। কমিউনিটি পুলিশের সদস্য নাছির মঙ্গলবার সকালে চাষাড়া এলাকায় তাদের চারটি রিকশার চাকা পাংচার করে দিয়েছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা তাকে মারধর করেছেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় নাছিরকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে আটক করে। একই সঙ্গে, একটি অটোরিকশাও আটক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের (অ্যাডমিন) টিআই করিম বলেন, যানজট নিরসন এবং অটোরিকশা-ইজিবাইক যাতে শহরে প্রবেশ করতে না পারে সেসব বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য নাছির আমাদের হয়ে কাজ করছিলেন। দুপুরে নাছির চাষাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় নাস্তা করছিলেন। এ সময় ৪-৫ জন যুবক তাকে টেনেহিঁচড়ে রেস্তোরাঁ থেকে বের করে মাসদাইর এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনজকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিলুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।








Discussion about this post