পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ঈদের আগে বেতন-বোনাস ও সব বকেয়া পরিশোধ, অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করা, বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান এবং ন্যায্যমূল্যে রেশন দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন। বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, সারা বছর শ্রমিকেরা হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে উৎপাদন করে মালিকদের মুনাফা এনে দেন। বিপরীতে পোশাক কারখানার মালিকেরা ১২ মাসই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে ঘোরান। ঈদের আগমূহূর্তে এসে কিছু মালিক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দিয়ে বিপদে ফেলে দেন।
এবার কোনো কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত করা হলে সেই মালিকের বাড়ি ঘেরাও করে পাওনা আদায় করা হবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়ে দিতে সরকার, বিকেএমইএ ও বিজিএমইএকে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারি–বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তারা এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস পান। কিন্তু দেশের অর্থনীতির মূল ভূমিকায় যে শ্রমিকেরা, তাঁদের একই হারে বোনাস দেওয়া হয় না। এক দেশে দুই নিয়ম চলতে পারে না। ঈদের আগে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস ও সব বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিক স্বার্থবিরোধী আইন বাতিল করে দেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুসারে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে।
নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য ৫০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান ও ন্যায্যমূল্যে রেশন দিতে হবে। নয়তো ঈদের পর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা।









Discussion about this post