রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে পথচারীসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা তিতাস গ্যাস টিমের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে।
প্রত্যদর্শী ও পুলিশ জানায়, বরপা এলাকায় শত শত অবৈধ তিতাস গ্যাসের গ্যাস সংযোগ রয়েছে। ওই সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। পরে স্থানীয় এ্যামি ভুইয়া, নাজমুল, রনি, এনামুল, আমিনুলসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট পুনরায় সংযোগ দেওয়ার জন্য অবৈধভাবে ব্যবহার করা লোকজনদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে পুনরায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেন তারা।
রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাসের একটি দল বরপা এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসে। এ সময় অবৈধ সংযোগ দেওয়া সিন্ডিকেটটি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজনকে তিতাস গ্যাসের বিচ্ছিন্ন টিমের ওপর ক্ষেপিয়ে তোলে। এ সময় তিতাস টিমের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তিতাস গ্যাস অফিসের দুটি মাইক্রোবাস, পুলিশের একটি টহল পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেন।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের রুখতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর কয়েক দফা ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ টিমের সদস্য ও পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে লিথুন ফেব্রিক্স নামে একটি পোশাক কাখানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। উদ্দেশ্যেপ্রণোনিতভাবে ওই কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের যাত্রামুড়া কার্যালয়ের ডেপুডি ম্যানেজার রিফাত আব্দুল্লাহ বলেন, সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে না গেলে আমাদের আরও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতো।
এ বিষয়ে এ্যামি ভূইয়া, নাজমুল, রনি, এনামুল, আমিনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সব অভিযোগকে তারা মিথ্যা বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।









Discussion about this post