ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গত কয়েক দিন মহাসড়কে যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে যাত্রীদের এমন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
যানবাহনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় ঠিকমতো যানবাহন মিলছে না। সেজন্য মহাসড়কে অনেক যাত্রীকেই যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকাল থেকেই মানুষ গ্রামের দিকে ছুটছেন। এদিকে ঘরমুখো যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকায় নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় বেশি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহণ মালিকরা।
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে সিলেটের বাস বাড়া নন-এসিতে ৫৭০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। শিমরাইল মোড় থেকে কুমিল্লার ভাড়া ২৫০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা, চট্টগ্রামের ভাড়া ৫৫০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা নিচ্ছে।
তাছাড়া শিমরাইল মোড় থেকে কক্সবাজারের ভাড়া ১১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০০ টাকা আদায় করছে। এছাড়া হাইস গাড়িতে কুমিল্লার ভাড়া ৮০০ টাকা নিচ্ছে।
চালকরা বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কিছু বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা ঈদের অজুহাত দেখাচ্ছেন। তারা বলেন, বছরে এই কয়েকটা দিনই আমরা একটু বেশি ভাড়া নেই।
কানিজ ফাতেমা নামে এক শিক্ষিকা বলেন, ঈদের পালনের উদ্দেশ্যে গ্রামের রওনা দিয়েছি। গত দুবছর করোনার জন্য কুরবানি ঈদের বাড়ি যেতে পারিনি। এবার পরিস্থিতি ভালো থাকায় ছুটিতে গ্রামে যাচ্ছি।
রাবেয়া ইসলাম নামে এক যাত্রী জানান, অনেক কষ্টে টিকিট পেয়েছি। কিন্তু এখনো বাস আসেনি। তাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হচ্ছে তবে আনন্দও লাগছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামীকালও এমন চাপ থাকতে পারে। তবে যাত্রীদের চাপ যতই থাকুক না কেন মহাসড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্যস্থলে যেতে পারে সেজন্য আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।









Discussion about this post