আপনি তো সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে প্রথমবার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসেছেন। দ্বিতীয়বার তো ইলেকশনই হয় নাই। ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়ে ২০১৪ সালে সরকার গঠন করলেন। আর ২০১৮ সালের নির্বাচন তো এমন হয়েছে যে এমপি সাহেবের বৌ যদি তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে তাহলে সে মনে করে আমার বৌ মনে হয় ধরে ফেলেছে আমি ভোট চুরি করে নির্বাচিত হয়েছি।
মধ্যরাতে প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ভোট চুরি করে এমপি হলেতো ছেলে, মেয়ে, প্রতিবেশীরা হাসবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই এমপিদের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
এভাবেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে শনিবার (৩০ জুলাই) বিকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া শহীদ মিনারে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু.।
বিএনপি নেতা দুদু আরও বলেন, আপনার পিতাও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তারেক রহমানের পিতাও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আপনার মাতা গৃহিণী ছিলেন। তারেক সাহেবের মাতা কিন্তু এ দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। আপনি আপনার পিতার কথা সার্বক্ষণিক বলেন। তারেক রহমান তো যোগ্য মায়ের যোগ্য সন্তান। আমরা তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেব।
তিনি বলেন, গ্যাস নেই. বিদ্যুৎ নেই, মানুষের ঘরে খাবার নেই এটা কী সহ্য হয়। আমার কেনো জানি মনে হয় ডিসেম্বর নাগাদ এই সরকার হয়ত আর থাকতে পারবে না। যে সরকার খাবার দিতে পারে না মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে না, ইজ্জত রক্ষা করতে পারে না। যে সরকার মুসল্লিদের সঙ্গে তামাশা করে। এটা বাংলাদেশ আমরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অধিকার অর্জন করেছি। মানুষ জীবন দিয়েছে তারপর এ দেশ অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, এ বছর হবে পরিবর্তনের বছর। এ বছর বর্তমান সরকারের শেষ বছর। এ বছর নতুন একটি পতাকা উড়বে। যে পতাকা সাম্যের পতাকা।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারের লজ্জা শরম নেই। যার এক কান কাটা সে আড়ালে চলে আর যার দুই কান কাটা সে সড়কের মাঝ দিয়ে চলে। এ সরকারের দুই কান কাটা। বিদ্যুৎ কেন্দ্র হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে সবগুলোর মালিক আওয়ামী লীগাররা। কাগজে বেরিয়েছে বিদ্যুৎ না দিলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। বিদ্যুৎ দেবেন না ক্যাপাসিটি চার্জ কেন দেব। বিদ্যুৎও প্রিপেইড করেছেন। আগে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ দেবেন না কেন। মাইরের ওপর ওষুধ নেই। পাকিস্তানিরা মার খেয়ে পালিয়েছে। আইয়ুব খানকে তাড়িয়েছি, এটা কোন খাঁ যে তাড়াতে পারব না।
বিএনপির ওই নেতা বলেন, বেগম জিয়া কখনও কোন নির্বাচনে পরাজিত হননি। তাকে জেলে রেখেছেন। জেনারেল আজিজের ভাই ফাঁসির আসামি তার সাজা মওকুফ করেছেন। কেউ জানে না। সে দেশের বাইরে যাওয়ার পর সবাই জেনেছে। এটা একটা দেশ। আপনি তাকে ক্ষমতার জোরে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর বেগম জিয়ার মতো মানুষ আজ বিনা বিচারে জেলখানায়। একজন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আজ ফাঁসির আসামি। ইলিয়াস সাবেক এমপি এমন একজন লোককে ধরে নিয়ে গেলেন, আজ পর্যন্ত তিনি ফিরে আসেননি। কী অদ্ভুত একটা দেশ।
দুদু বলেন, ছয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যকে আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে। আজ আপনি তাদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনে যারা আছে তাদের অবাধ লুন্ঠন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রধাণমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার কার্যালয়ের এসি কী বন্ধ। মন্ত্রীদের এসি কী বন্ধ। তাহলে মসজিদ ও মন্দিরের এসি কেন বন্ধ থাকবে? আপনি বলেন আপনি পদ্ম সেতু বানিয়েছেন। এত বড় সাফল্য তাহলে কেয়ারটেকার সরকার দিন না। তাহলে ভোট দিচ্ছেন না কেন। কোথাও একটা কিন্তু আছে। রিকশাওয়ালা, ক্ষেত মজুর থেকে শুরু করে সবাই এটা জানে। কিছু মানুষ আছে পানি ঘোলা করে খায়, আপনিও দিবেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন ধানের শীষের অনুকূলে আছে।
মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এ্যাডভোকেট জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউছুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দ ।









Discussion about this post