সাত খুনের ঘটনার পর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিলের চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক অপরাধের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কুখ্যাত খুনী নূর হোসেনের অপরাধ সাম্রাজ্য । ফাঁসির সাজা মাথায় নিয়ে কারাগারের কনডেম সেলে সেই নরঘাতক নূর হোসেন প্রতিটি সেকেন্ড যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হলেও নূর হোসেনের শ্যালক পূর্বের ন্যায় নুর আলম খান এখনো সকল ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়েই যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ঢগায়।
নূর আলম খানের অস্ত্রসহ তার সহাযোগি টাইগার মোমেন ও তার সহযোগী মোঃ বুলবুল ভূঁইয়া র্যাবের হাতে গত বছর আটক হলেও এবার আরো অনেক অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রায়ই দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা । নূর হোসেনের স্ট্যইলে অসংখ্য অস্ত্র নিয়ে নূর আলম খান তার বাহিনী বেস্টিত হয়ে মহড়া দেয়ায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে পুরো কাঁচপুরে।
গত বছর সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার মোমেন অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে সকল সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দেয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরলেও কয়েক দিনের মধ্যেই ফের একই কায়দায় জোড়ালোভাবে অস্ত্রের মহড়া দেয় নূর আলম। ফলে আতংকের জনপদ হিসেবে রূপ লাভ করে কাঁচপুর ।
কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার অনরোধে জানায়, গত বছর নূর আলম খানের অন্যতম সহযোগি শীর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার মোমেন কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার র্যাব । এরপর থেকে কয়েকদিন কিছুটা সন্ত্রাসীদের মহড়া বন্ধ ছিলো । কয়েকমাস পরে আবার সেই অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা মহড়া শুরু করে নূর আলম খানের নেতৃত্বে ।
কাচপুরের অপরাধ সম্রাজ্যের মধ্যে হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ এক্সপোর্ট পন্যের পুরো কন্টোইনার ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা ও সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের শ্যালক নুর আলম খানের নিয়ন্ত্রণে ।
এক ডজন মামলার আসামী টাইগার মোমেন বাহিনী এখনো নূর হোসেনের শ্যালক নুর আলম খানের শেল্টারে কাঁচপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা, তেলচুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনবরত ই চালিয়ে যাচ্ছে এই চক্রের সকলেই । নূর আলম খানের এই বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
একই সাথে নানা অপরাধের সিদ্ধহস্ত নূর আলম খান আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে এমন কোন কৌশল নাই, যা এই নূর আলম করতে পারে না ।
নূর আলম খান প্রায়ই একটি বক্তব্য সকল সহযোগি সন্ত্রাসীদের মাঝে প্রচার করে, তা হলো, “পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজের দায়িত্ব আমার ! কি করে প্রশাসনের কর্তাদের ম্যানেজ করতে হয় তা আমি জানি। প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা ঘুষ খায় না, এটা আমি মানি না । কোন কর্তা কত পর্যন্ত ঘুষ খায় না তা আমি দেখমু ! তোরা শুধু আমি যা কইমু তাই করবি। পুলিশ ধরলে, জেলে নিলে আমি ই দেখমু ! আমার এই হাত দিয়ে অনেক বাঘা বাঘা কর্মকর্তাদের টেবিলে বসে ম্যানেজ করছি । দুলাভাই (নূর হোসেন) অচিরেই মুক্তি পাইবো । তখন দেখবি চমক কারে কয় !“
জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল কাঁচপুর ওলামানগর এলাকা থেকে র্যাব-১১’র একটি দল কাঁচপুরের নূর আলম খান বাহিনীর প্রধান টাইগার মোমেন ও তার সহযোগী মোঃ বুলবুল ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ম্যাগাজিনভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি, ২’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এক লিটার চোলাই মদ, মাদক বিক্রয়ের নগদ ১০’হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা করা হয়। এ ঘটনায় টাইগার মোমেন ও তার সহযোগী মোঃ বুলবুল ভূঁইয়াকে জামিন করাতে সকল প্রকার চেষ্টা চালায় নূর আলম খান ।
টাইগার মোমেন ও তার সহযোগী মোঃ বুলবুল ভূঁইয়া বাহিনী এখনো ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ি হতে বিভিন্ন পরিবহন থেকে জ্বালানী তেল চুরি, পরিবহনে ছিনতাই ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যচ্ছে ।









Discussion about this post