নানান অপরাধের হোতা সামান্য আড়ংয়ের সেলসম্যান থেকে একজন শীর্ষ নেতার শেল্টার নিয়ে ফেরদৌসী আলম নীলা শত শত কোটি টাকার মালিক । পুরো পরিবার যেখানে বিএনপির মতাদর্শ নিয়ে রাজনীতি করছে সেক্ষেত্রে এই নীলা নরসিংদীর পাপিয়ার মতো নানা পাপে জড়িয়ে একের পর এক কর্মকান্ডে চালিয়েই যাচ্ছে । ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের হুমকি দিয়ে এই নীলা ও তার স্বামী ফটিক গণমাধ্যমকর্মীদের দমিয়ে রেখেছিলো এতোদিন । নীলার নীল দংশনে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত সকল তথ্যই প্রকাশ করছে এলাকার সাধারণ মানুষ । কোন এক প্রভাবশালী নেতার স্ত্রী প্রকাশ্যেই এই নীলার কর্মকান্ডের কারণে অসংখ্যবার অপমান অপদস্তও করেন। এরপরও নীলাকে থামানো যায় নাই । আর নীলার স্বামী ফটিক তার স্ত্রীকে ব্যবহার করে আড়ংয়ের সামান্য কর্মচারী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সকল ধরণের অপরাধ করেই ।
পাপিয়ার মতো নীলা তার স্বামী ফটিক, নীলার দেবর, নীলার দুই ভাইকে গ্রেফতার করে তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে রাঘববোয়ালদের সকল অপকর্মের তথ্য এবং নীলার নীলকুঞ্জ উদঘাটনের জোড় দাবী করেছেন অনেকেই ।
( রূপগঞ্জের অনেকেই নানা নীলার অপরাধের বিশাল তথ্য প্রদান করেছে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর কাছে । যার অডিও ভিডিও সংরক্ষণে রয়েছে । অনেকেই বলেছেন, পাপিয়ার চাইতেও আরো অনেক অপকর্মের হোতা নীলা এখনো কি করে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নাম মুছে দিয়ে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়েও বহাল তবিয়্যতে রযেছে ? তাকে শেল্টার দেয় কে ? )
পাপিয়ার পাপে যেমন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলো পুরো শাসক দলের অনেকেই তেমনি নীলার দংশনে নীল হয়ে উঠেছিলো রূপগঞ্জের পূর্বাচলসহ শাসক দলের রাজনীতির বিশাল একটি অংশ। সেই নীলা অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসী আলম নীলাকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে সংগঠনের সকল পদ থেকে তাকে এই অব্যাহতি দেয়া হয়।
গত ৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের স্বার্থ, আদর্শ, তথা শৃঙ্খলাভঙ্গ তথা গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর (ক) এবং ৪৭ এর (ঙ) ধারা মোতাবেক গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সহ নিম্নস্তরের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেরদৌসী আলম নীলা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক পদে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি রূপগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখলসহ নানা অবৈধ কাজে প্রভাব খাটানোর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
তিনি পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নির্মাণাধীন স্টেডিয়াম দখল করে গড়ে তুলেছেন কথিত নীলা মার্কেট।
রাউজকের পূর্বাচলে প্রতিবন্ধীদের বরাদ্দের জায়গা দখল করে প্রতিষ্ঠা করেছেন লেডিস ক্লাব। এছাড়া নীলা কনভেনশন হল, পূর্বাচল ক্লাবের দখলদারিত্ব, ইউছুফগঞ্জ স্কুলের গরুর হাটের টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে গাড়ি ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন কোটি কোটি টাকা। রাউজকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে ধারণা করা হয়।









Discussion about this post