বাড়ানো হয়েছে বাস বাড়া। দূর পাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারে ৪০ পয়সা বেড়ে ২ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাস ভাড়া বাড়বে ২২ শতাংশ। আর মহানগরীতে ৩৫ পয়সা বেড়ে নতুন ভাড়া ২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে; তাতে ভাড়া বৃদ্ধি পাবে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর পরিবহন ভাড়া সমন্বয়ে শনিবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাস ভাড়া বৃদ্ধির এ ঘোষণা আসে।
এমন ঘোষনার পর রাতেই নির্ধারণ করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচলরত জ্বালানী তেল দিয়ে পরিচারিত সকল পরিবহণের ।

রাতে কোন পরিবহণ নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিচালিত না হলেও কাকঢাকা ভোর থেকেই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র ।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা চলাচলরত বন্ধন ও উৎসব পরিবহণ শনিবার সারাদিন ৪৫ টাকা হিসেবে ভাড়া গ্রহণ করলেও রোববার সকাল থেকেই সেই ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা গ্রহণ করছেন । একই ভাবে চাষাড়া থেকে চলাচলরত এসি বাস শীতল পরিবহণ পূর্বের ভাড়া ৬৫ টাকা হলেও রোববার ( ৭ আগষ্ট ) সকাল থেকেই সেই বাড়া বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা গ্রহণ করছেন। অপরদিকে সরকারী গণপরিবহণ বিআরটিসি পূর্বের ভাড়া ৪০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা গ্রহণ করতে দেখা গেছে ।
রোবাবার সকালে পূর্বের ন্যয় অধিক যাত্রী না থাকলে চাষাড়া রাইফেল ক্লাবের বিপরীত থেকে চলাচলরত শীতল এসি বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে কয়েকজন টিকেট নিলেও কেউ কোন মন্তব্য করেন নাই ।
অপরদিকে ২নং রেল গেইট এলাকায় অবৈধ বাস কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট নিয়ে প্রায় সকলেই নানা মন্তব্য করতে করতেই বাসে উঠতে দেখা গেছে ।
এমন চিত্র ১নং রেল গেইট এলাকায় বাস টার্মিনালের বন্ধন কাউন্টারে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোন মন্তব্য ছাড়াই টিকেট ৬৫ টাকায় গ্রহণ করে বাসে উঠেন । এ সময় একজন চাকুরীজীবী নারী যিনি তার নাম প্রকাশ করতে চান নাই ।
তিনি কাউন্টারে দাঁড়িয়ে জোড়ালো কন্ঠে প্রতিবাদের সূরে বলেন, “আমরা তো জিম্মি । আমাদের দেশ তো মগের মুল্লুক । প্রতি লিটারে ডিজেলের দাম বাড়ছে ৩৪ টাকা আর একেকজন যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বাড়িয়েছে ২০ টাকা । আশ্চর্য তো । কার কাছে বলবো ? নারায়ণগঞ্জে কি আইনশৃংখলা বাহিনী বলতে কেউ আছে ? থাকলে এই নৈরাজ্য হচ্ছে কেমনে ? করেন টা কি আমাদের নেতারা? ভেরেন্ডা ভাজেন নাকি ?“
এমন কঠোর ভাষায় ওই নারী প্রতিবাদকাল করলেও বাস কাউন্টারে বসে থাকা কয়েকজন পরিবহণ মালিক কিংবা কাউন্টারে থাকা কেউ কোন মন্তব্য করেন নাই ।
পাশাপাশি কাউন্টারে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত বন্ধু পরিবহণে কোন মূল্য বৃদ্ধি করা হয় নাই বলে জানান, বন্ধু পরিবহণের পরিচালক মন্টু । তিনি বলেন, আমাদের পরিবহণ গ্যাস দিয়ে চলাচল করে তাই এই পরিবহণের কোন ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় নাই।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে এসময় একজন পরিবহণ মালিক বলেন, “রাতেই পরিবহণ নেতারা নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতাদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করে নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তাদের সাথে পরামর্শ করেই এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে । এই বাড়তি ২০ টাকা কি কোন বাস মালিক একা খাইবো ? এই ২০ টাকার মধ্যে কোন নেতা কত পাইবো কোন কর্তা কত নিবো তা বাগবাটোয়ারা হইয়া গেছে আগে থেইক্কাই।









Discussion about this post