নারায়ণগঞ্জে অটো রিক্সা ঘিরে একদিকে যেমন পুলিশের রেকারম্যান হিসবে পরিচিত হাসানসহ কয়েকজন এটিএসআই / কন্সষ্টেবলদের কাকডাকা ভোর থেকে চাঁদাবাজির নগ্ন চিত্র দেখে যেমন অভ্যস্ত নগরবাসী তেমনি কয়েকজন নামধারী কার্ডধারীদের কারণে কলুষিত হচ্ছে সাংবাদিক মহল। এমন অপরাধীদের সাথে পুলিশের কয়েকজন কর্তার নিয়মিত নানাভাবে সখ্যতার কারণে অটো রিক্সা থেকে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগে উঠেছে তথিত এমন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।
এক সময়ের ঝুট সন্ত্রাসী, খুনীদের সহযোগি এবং অন্যের অর্থ আত্মস্যাৎকারী অপরাধীরা এমন মহান পেশাকে কলুষিত করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধুৃ কয়েকজন কর্মকর্তাদের নিয়মিত তৈলমর্দন করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অটো রিক্সা থেকে নগ্ন চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে ।
এমন চাঁদাবাজির ঘটনায় দৈনিক মানব কণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দানকারী জনৈক সায়মন নিজেকে সেনা বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত আফিসার (অবঃ) সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে ।
একই সাথে নিজেকে সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংগঠনের সদস্য পরিচয়ের স্টিকার দিয়ে ৫০০ অটোরিক্সা থেকে প্রতি মাসে প্রতিটি অটো রিক্সা থেকে ১৫০০ টাকা হিসেবে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে এই সায়মন ।
এমন ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মানব কণ্ঠের একজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ড মুঠোফোনে আলাপকালে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, মূলত সায়মন কোন সাংবাদিক না । সে মানব কন্ঠের বিজ্ঞাপন দেয় বলে তাকে কার্ড দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন রেকারম্যানের মাধ্যমে লাখ লাখ টাাকর চাঁদাবাজির অভিযোগের পর এবার এই সায়মনের বিশাল এই চাঁদাবাজির বিষয়ে মুঠোফোনে ১০ মিনিট ০৯ সেকেন্ড আলোচনাকালে তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমি সেনা বাহিনী থেকে সেকেন্ড লেফটেনেন্ট হিসেবে ৯৫ সালে অবসর নিয়েছি ।
এমন অবসরপ্রাপ্ত সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জে অটো রিক্সায় চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা সংস্থার কোন কোন কর্মকর্তা আপাততঃ নিজেদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, আমরা এই বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়ে খোজ খবর নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
নারায়ণগঞ্জে অটো রিক্সা থেকে সায়মনের এমন চাঁদাবাজির বিষয়ে দৈনিক যুগের চিন্তায় প্রকাশিত সংবাদ হুবহু নিম্নে দেয়া হলো :
সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংগঠনের
সদস্য পরিচয়ের স্টিকারে চলে ৫০০ অটোরিক্সা
# ষ্টিকারযুক্ত গাড়ির অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে আমরা আরোও বেশি তৎপর : এডি.এসপি
# এটা ব্যবসা মনে করতে পারেন, প্রশাসন না চাইলে ঢুকবে না : সায়মন
বটক লাল ভট্ট : সাংবাদিক ষ্টিকার ব্যবহার করে কথিত সাংবাদিকদের চাঁদাবাজির ঘটনা বর্তমানে নারায়ণনগঞ্জে আলোচিত ঘটনার মধ্যো অন্যতম। এ নিয়ে প্রশাসন ও নড়েচড়ে বসেছে। প্রশাসন এর বাড়তি নজর কথিত এসব সাংবাদিকদের ষ্টিকার সম্বলিত ইজিবাইক এর দিকে। এসব চাঁদাবাজি বন্ধে তৎপরতা বেড়েছে প্রশাসনের। তবে উল্টো চিত্র দেখা যায় সম্পাদক সায়মন এর ঃযব ফযধশধ নফ.পড়স নামক একটি অনলাইন পোর্টাল এর ষ্টিকার সম্বলিত ইজিবাইক এর ক্ষেত্রে।
শহরের ইজিবাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকা ঘুরে দেখা যায় অন্যান্য সাংবাদিক এর ষ্টিকারযুক্ত গাড়ি কদাচিৎ দেখা গেলেও সাংবাদিক পরিচয় দেয়া সায়মন এর ষ্টিকার সম্বলিত গাড়ি অহরহ দেখা যাচ্ছে শহরে। প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় কিভাবে গাড়ি ডুকছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঞযব উযধশধ ইফ .ঈঙগ এর ষ্টিকার সম্বলিত এক ইজিবাইক চালক জানান, আমি প্রথমে ১৫০০ টাকা দিয়ে সায়মন ভাই এর ষ্টিকার নিয়েছি। প্রতি দশ দিন পরপর ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। অর্থাৎ এই ষ্টিকার বাবদ আমাকে প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা দিতে হয়। তিনি আরো জানান, ষ্টিকারযুক্ত কোনো গাড়ি জদি শহরে ১ টা ও চলে সেটা হবে সায়মন সাংবাদিক এর ষ্টিকারযুক্ত গাড়ি। তিনি অনেক প্রভাবশালী। অন্যদের গাড়ি ধরলেও কেউ আমাদের গাড়ি কখনো ধরেনা। প্রায় তিন বছর ধরে আমি এই গাড়ি চালাচ্ছি কেউ কখনো বাধা দেয়নি, আর দিবেও না।
সায়মন সাংবাদিক এর প্রায় ৫০০ এর উপরে ষ্টিকারযুক্ত গাড়ি আছে। তিনি আরো ষ্টিকার বিতরণ করছেন। কেউ তার ষ্টিকার বিতরনে সক্ষম হলে তাকে কার্ড প্রতি ৫০ টাকা করে দেয়া হয়। এর ফলশ্রুতিতে বলা যায় শহরের নিয়ম-কানুন,আইনকে তোয়াক্কা না করে সে নিজের চাঁদাবাজির স্বার্থে শহরকে পরিপূর্ণ যানজটমুক্ত করতে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ্য করছেন। শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার অন্যতম অন্তরায় এই সাংবাদিক সায়মন। সাংবাদিক সায়মন এর সাথে এ চাঁদাবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি যুগের চিন্তাকে জানান, আমি শুধু ঞযব উযধশধ ইফ.ঈড়স এর না। আমি মানবকন্ঠেরও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি। আমার কিছু পার্সোনাল গাড়ি আছে। এটা সবাই জানে। আমার পার্সোনাল গাড়ি তো আমার নামেই চলবে। আমার প্রায় ২০ টার মতো গাড়ি আছে । অর্থাৎ তিনি তার চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছেন। যদিও সংখ্যা কমিয়ে বলেছেন। কারণ তারই ষ্টিকার সম্বলিত এক চালক জানান তিনি নিজেই প্রায় ৫০ টির মতো স্টিকার বিলিয়েছেন। সাংবাদিক সায়মন আরোও বলেন, আপনি যদি ব্যাবসা করতে চান তাহলে করতে পারেন না ? এটা এমনি। আপনিও চাইলে করতে পারেন। অর্থাৎ তিনি চাঁদাবাজিকে ব্যবসা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এবং এতে উৎসাহিত করছেন। তিনি আরোও যুক্ত করেন, শহরে গাড়ি ঢোকানোর মতো ক্যাপাসিটি আমার নেই। যদি প্রশাসন তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে তাহলেই তো আর গাড়ি ঢুকতে পারবে না। অর্থাৎ তিনি সরাসরি প্রশাসনকে তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জাহেদ পারভেজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগের চিন্তাকে জানান, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যানবাহন চলাচল করছে শহরে অথচ পুরো জেলায় ট্রাফিকের ট্রাফিকের দায়িত্বে আছে মাত্র ৮৫ জন ট্রাফিক। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এছাড়াও রেকার আছে মাত্র ৫ টি যেখানে ২০ টি রেকার থাকলে সব অবৈধ গাড়ি আটক করতে পারতাম। এছাড়াও আমাদের কোনো ডাম্পিং জোন নেই। একটা দিয়েছে বিজিবির পাশে কিন্তুু সেখানে পানি জমে আছে। সেটা ব্যবহারের জন্য উপযোগি নয়। এছাড়াও অন্যন্য সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় ইজিবাইক ও অটোরিক্সাকে লাইসেন্স দেয়। এখানে এটা দেয়া হয়না। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবো কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রকে আমরা রিকোয়েস্ট করেছি। তিনি এটা দেখতেছেন বলেছেন। তিনি আরোও যুক্ত করেন ইজিবাইক অবৈধ হলে সরকারের উচিৎ এটা আমদানি বন্ধ করে দেয়া। তবে প্রশাসনের দিকে যে আঙ্গুল তুলছে দায়িত্ব অবহেলা নিয়ে সেটা আমরা আমলে নিয়েছি। এসব ষ্টিকারযুক্ত গাড়ির অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে আমরা আরোও বেশি তৎপর এখন। এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।









Discussion about this post