কোন অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছে না সাংবাদিক পেশার নাম ব্যবহারকারী চক্রের দৌড়াত্ম । আইনশৃংখলা বহিনী যেন অসহায়। নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের এইটএসআই হাসানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজের চাঁদাবাজির সুযোগ নিয়ে কথিত বিশেষ পেশার নামধারীরা নগরীতে শত শত অটো রিক্সা / ইজি বাইক / ব্যটিারী চালিত রিক্সায় স্টিকার দিয়ে প্রতি মাসে ১৫০০/= (এক হাজার পাঁচশত) টাকা হারে চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে । এমন অটো রিক্সার কারণে নগরবাসী জিম্মি হয়ে পরেছে ।
বিশেষ পেশার (সাংবাদিক পরিচয় দানকারী) চক্রের একেরজন কোন ধরণের আইন না মেনে নিজেদেরকে কখনো সাংবাদিক / কখনো রাজনীতিবিদ / কখনো বিশেষ বিশেষ সংগঠেনের নেতা / কখনো পুলিশ কর্মকর্তা আবার কখনো কখনো নিজেদের কে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পুরো নগরীতে চাঁদাবাজের রামরাজত্ব শুরু করেছে। আর এই চক্রের অপরাধীদের কর্মকান্ডে পুরো নগর যেন মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে । এমর অংখ্য ভূয়া পরিচয় ব্যবহার করে অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে কেউ কোন অবস্থাতেই মুখ খুলতেও পারেন না ।
এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলেছেন এই চক্রের সকলেই একেক জন ব্লাক মেইলার। মূলত এমন সাংবাদিক / রাজনীতিবিদ / মুক্তিযোদ্ধার সন্তান / বিশেষ বিশেষ সংগঠেনের নেতা / পুলিশ কর্মকর্তা আবার সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত (১) জনতা (২) সংবাদ (৩) রণি পরিবহণ (নাট্যকার) (৪) প্রেস মিডিয়া (৫) NBS (মিডিয়া) (দিপু ) (৬) সংবাদ, দৈনিক বাংলা (৭) সংবাদ পরিবহণ (৮) আমাদের সংবাদ (৯) তথ্য চিত্র পরিবহণ (১০) সংবাদ পত্র (১১) ঢাকা বিডি (১২) প্রেস (সুমন) ( ১২) বার্তা পরিবহণ (১৪) এশিয়ান (শাহিন আলম), (১৫) সবুজ পৃথিবী (১৬) শাহিন আলম (১৮) সারোয়ার পরিবহণ (১৯) বঙ্গ টিভি (২০) নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ঐক্যফ্রন্ট (২১) আবু বক্কর নিউজ (২২) সায়মুন নিউজ এবং (২৩) প্রতিনিয়ত পরিবহণ সহ আরো কয়েকজন একেবারেই প্রকাশ্যে চাষাড়া চত্তরে দাড়িয়ে হাজারো অটো রিক্সা / ইজি বাইক / ব্যটিারী চালিত রিক্সা থেকে চাঁদা আদায়ের চিত্র সকলেই দেখেন ।
নাম প্রকাশ না করা অনুরোধে ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা উল্লেখিত তালিকা দেখিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা একেবারেই অসহায় । এই চক্রের সায়মুন নামের একজন অপরাধী কমিউনিটি পুলিশের সদস্য কি করে হলো তা খতিয়ে দেখছেন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। তাকেও খোঁজা হচ্ছে। অথচ এই অপরাধী নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয় । সেনা বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেনন্ট পরিচয় দেয়া এই সাইমুনের তার ভয়েজ রেকর্ড কর্মকর্তাদের হাতে রয়েছে । এই চক্রের সকলেই যেন এই নগরীর একেক জন মালিক মহাজন । অথচ এই অপরাধীদের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই চাঁদাবাজদের এই নগরীতে কোন পরিচয় – ঠিকানা নাই। এরা সকলেই যেন বহিরাগত । বাপ দাদার কোন নাম পরিচয়ও কেউ বলতে পারে না উল্লেখিত চাঁদাবাজদের। অথচ এই অপরাধীরা একেক জন যেন সাংবাদিক / রাজনীতিবিদ / মুক্তিযোদ্ধার সন্তান / বিশেষ বিশেষ সংগঠনের নেতা / পুলিশ কর্মকর্তা আবার সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অপকর্ম চালিয়েই যাচ্ছে । এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আইনশৃংখলা শীর্ষক বৈঠকে বিস্তারিত তুলে ধরার পর এই তাদের কৌশলে আটক করে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া আছে।
নাম কেন প্রকাশ করতে চাইছেন না এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, আমার দপ্তর থেকে এই তালিকা দেয়া হয়েছে এটি প্রকাশিত হলে সকলেই চাঁদাবাজরাই বুঝতে পারবে । এদের কোন পত্রিকা বা গণমাধমের কোন সম্পৃকততা ও নাই । উল্লেখিত অপরাধীরা ফেসবুকে নানা অপপ্রচার চালিয়ে ব্লাক মেইলিং করে মানহানির চেষ্টাও চালায় । অথচ এই অপরাধীরা বুঝতেও পারে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের একটি আইন এখনো বহাল আছে ।
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা চাকরী করি নারায়ণগঞ্জে । আর দেশ বিদেশে আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন পরিবার পরিজন ফেসবুকে এমন অপপ্রচার দেখে বিভ্রান্ত হন। স্বজদের কেউ বুঝতেও পারেন না আমরা কতটা সততার সাথে চাকরী করে যাচ্ছি । আর এই কারণেই আপাততঃ নাম প্রকাশ করতে চাইছি না । দুই – চারজন এমন অপরাধীদের আটক করে সাংবাদিকদের ডেকে যখন সকল তথ্য প্রকাশ করবো তখন পরিচয় প্রকাশ করে জানাবো সকলেই এইটিএসআই হাসানদের অপরাধী না।
এমন গুরুতর অভিযোগর বিষয়ে সোমবার (২২ আগষ্ট) সকালে এন চাঁদাবাজির অসংখ্য প্রমাণ মিলেছে নগরীর চাষাড়া, ২নং রেল গেইট , ১নং রেল গেইট এলাকা, কালীরবাজার, মেট্রো সিনেমা হল চত্তরসহ বিভিন্ন এলাকায় ।









Discussion about this post