জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে, “নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দুইজন চাঁদাবাজ কে নিয়মিত উৎকোচ ও মাসোয়ারা দিলেই যতই অপকর্ম করুক না কেন ক্লিনিক / ডায়াগণষ্টিক সেন্টার বন্ধ হবে না। আসবে না কোন অভিযান । এককালীন মোটা অংকের উৎকোচ এবং প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোয়ারা বিকাশ কিংবা ক্যাশে পরিশোধ করলেই আর কোন চিন্তা নাই বৈধ কিংবা অবৈধ ক্লিনিক / ডায়াগণষ্টিক সেন্টারের । এভাবেই চলছে নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার।
আর যে ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার যতই বৈধ হউক না কেন নিয়মিত মাসোয়ারা না দিলে নানা ছলছুতোয় অভিযান করে হয়রানী করবেই নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অসাধু চক্র। চাকরীর বিধি অনুযায়ী জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন দুই / তিন বছর পর পর বদলী হলেও ওই চাঁদাবাজ উচ্ছিষ্টভোগী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই কোন ক্লিনিক / ডায়াগণস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ ।
এমন অপকর্মের বিশাল ফিরিস্তি তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জের একজন প্রবীন চিকিৎসক গণমাধ্যমকর্মীদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা যদি ঠিক মতো কাজ করতো তাইলে কোন অবস্থাতেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওই দুই চাঁদাবাজ বছরের পর বছর যাবৎ অপকর্ম করতে পারতা না। উদহারণ স্বরূপ শহরের মেডিস্টার ক্লিনিক, সিদ্ধিরগঞ্জের পদ্মা ক্লিনিকের ঘৃন্য অপকর্ম তুলে ধরেন । ওই পদ্মা ক্লিনিকের সিলগালা খুলে দিতেও বিশাল লেনদেনও হয়েছে। এখন শুধু ওই সিলগালা খুলে দিতে নাটক মঞ্চায়নের পালা । মূলতঃ অপরাধীদের সূতিকাগার সিভিল সার্জন কার্যালয়। পুরো জিলার স্বাস্ত বিভাগ ওই দুই চাঁদাবাজের হাতে জিম্মি ।
আরো কয়েকটি ক্লিনিক / ডায়াগণস্টিক সেন্টারের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ক্লিনিক ব্যবসার নামধারী অপরাধীরা কি করে কত অপরাধ করে যাচ্ছে তার হিসাব কে নেবে ? রাতের আধারে এমন অবৈধ সকল ক্লিনিক / ডায়াগণস্টিক সেন্টার চলছে বিরামহীনভাবে।
নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের এমনর হাজারো অপকর্ম ঢাকতে প্রায়ই অভিযান চালায় এই অসাধু চক্র। যা লোক দেখানো এবং ওই চাঁদাবাজদের সাথে কন্ট্রাক্ট না করার ফলে সিলগালাও করা হয় প্রায়ই । যার জ্বলন্ত উদহারণ রূপগঞ্জে ৪ অবৈধ ডায়াগনেস্টিক সেন্টার।
রূপগঞ্জে ৪ অবৈধ ডায়াগনেস্টিক সেন্টার সিলগালা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় আরো দুইটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে কঠিক কাগজপত্র দেখানোর জন্য ৭দিন ও ২দিনের সময় দেয়া হয় । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আইভি ফেরদৌসের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিনব্যাপী উপজেলার বেলদী, রূপগঞ্জ ও ভুলতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসকল অবৈধভাবে গড়ে উঠা ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়।
এসময় সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুল আহমেদ, ডাঃ মশিউর রহমানসহ রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আইভি ফেরদৌস জানান, এ উপজেলার অনুমোদনহীন ৮টি অবৈধ ডায়াগনেস্টিক রয়েছে। যাদের কোন প্রকার কাগজপত্র নেই বলে আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল। জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার বেলদী এলাকার বেলদী ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার, নিউ মর্ডান হেলথ কেয়ার সেন্টার, ভুলতা এলাকার ইডেন লাইফ কেয়ার হসপিটাল, গাউছিয়া ডায়াবেটিকস সেন্টার বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়া
হেলথ কেয়ার ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারকে তাদের যাবতীয় কাগজপত্র দেখানোর জন্য ৭ দিন ও মায়ের ছায়া ডায়াগনেষ্টিক এন্ড হাসপাতালকে ২ দিনের সময় দেয়া হয়।









Discussion about this post