সোনারগাঁয়ের টোল প্লাজায় ওসিকে কুপিয়ে আহত করে ডাকাতির ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সোহবান ডাকাত। এর আগে আরো দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিন ডাকাত গ্রেফতার করা হয়
সোনারগাঁয়ে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ও তার গাড়ী চালক মো. ইয়াছিন বাদশাকে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সোহবান নামে আরো এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ঝাউচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোনালিসা সনির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে সোহবান।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুস সোহবান ওরফে সোহবান মিয়া।
এ ঘটনায় পুলিশ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ও তার গাড়ী চালক মো. ইয়াছিন বাদশা প্রাইভেটকার যোগে ঢাকা থেকে গত শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তার কর্মস্থলে যাওয়া পথে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় ডাকাতির শিকার হন।
পরে ডাকাতরা প্রাইভেটকারের পেছনের দরজা খুলে ওসি আলমগীরকে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা, ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
আসাদুজ্জামান মিয়া আরো জানান, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ওসি আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গত মঙ্গলবার ভোর রাতে ঝাউচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাত ও গতকাল শনিবার সকালে সোহবান ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। সোহবানকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, হাইওয়ে ওসিকে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় সোহবান ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।









Discussion about this post