বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে ফারদিনের নামাজে জানাজা শেষে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা ফারদিনের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। আজ সকালে ময়নাতদন্ত শেষে ফারদিনের লাশ দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে আনা হয়।
পরবর্তীতে ফারদিন নূর পরশের (২৪) মরদেহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বনানী ঘাট সংলগ্ন লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কুতুবপুরের নয়ামাটি এলাকার কাজী নুরুদ্দীন রানার ছেলে এবং বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঢাকার ডেমরার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।
নারায়ণগঞ্জ রিভার পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান মনি জানান, ফারদিনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ফারদিনের মৃত্যুর পেছনে সম্ভাব্য কারণ ও ক্লু খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ফারদিন। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।









Discussion about this post