বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই কিশোরীকে ধর্ষকের সাথে বাল্য বিয়ে করানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষক, কাজীর সহকারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুলা থানার সস্তাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার আরিফুর রহমানের ভাড়াটিয়া ওই কিশোরী(১৪) ছাদে কাপড় রোদ দিতে যায়। এসময় ওই কিশোরীকে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া নাসির মিয়া তাকে তার রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গুরুতর অবস্থায় ওই কিশোরী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ওই কিশোরী তার পরিবারকে জানায় তারা থানায় মামলা করতে উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি সামাজিকভাবে ধামাচাপা দিতে ওই কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেয়। তারা ধর্ষকের পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে রাতে ওই এলাকার কাজীর সহকারী ফিরোজ আলমকে এনে ওই কিশোরীকে নাসিরের সঙ্গে জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে পড়ানোর উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানতে পেরে পুলিশ খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ধর্ষক সস্তাপুর এলাকার ইমতিয়াজ মিয়ার ছেলে নাসির মিয়া(২৫), কাজীর সহকারী মৃত আশরাফ মিয়ার ছেলে ফিরোজ আলম(৪৫), মকবুল হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম খুশু(৪৫), মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন(৪৫), মৃত আসমত আলীর ছেলে মনির হোসেন(৪৬), দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফুর রহমান(৩৫)কে আটক করে।
এ ব্যপারে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক আব্দুল আজিজ জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে কাজীর সহকারী ফিরোজ আলমসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।









Discussion about this post