এবার কি বলবেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারা ? সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডের মহিলা লীগের সভানেত্রী আবারো ফেনসিডিলসহ গ্রেফতারের ছবি প্রকাশের পর উল্লেখিত এমন প্রশ্ন নগরীর অনেকের মুখে সমালোচনার ঝড় বইছে।
নগরীর কিল্লার পুল এলাকর সেই নুপুরী এক সময় যিনি উচ্ছৃংখল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ায় পরিবার থেকে ছিলো নিগৃহীত। সেই নূপুরী স্বামীসহ বারবার মাদক কারবারের কারণে গ্রেফতার হওয়ায় নূপুরীকে ঘিরে নগরীর উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ।
জোট সরকারের শাসনামলে বিএনপির এক নেত্রীর পিছে থেকে মাদক ব্যবসা পুরোদমে চালাতে নিজেকে বিএনপি নেতা বনে যেতে চালায় অপতৎপরতা। এর পর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার মাদক নিয়ে গ্রেফতার হলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ব্যবহার করে দূর্বার গতিতে চালায় সেই পুরানো মাদক ব্যবসা। একই সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জামাল হোসেনকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের মহিলা লীগরে সভানেত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হয় মাদক কারবারী নূপুর। সেই থেকে আরো পুরোদমে শুরু করে মাদকের কারবার ।
নাসিক এলাকার ১১নং ওয়ার্ডের মহিলা লীগের সভানেত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেও নানা তোপের মুখে পরে কুখ্যাত আরেক সন্ত্রাসী পিজা শামীমের নাম ব্যবহার করে এবং ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে শুরু করে মাদকের কারবার। এ সময় প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের সহধর্মীনী ও একমাত্র পুত্র আজমীর ওসমানের নাম ব্যবহার করে মাহবুবার আক্তার নূপুর পুরো নগরীতে দাবড়িয়ে বেড়াতো বীরদর্পে ।
বীরদর্পে এমন মাদক কারবারে নগরীতে চষে বেড়ানোর পর গত সোমবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে সেই কুখ্যাত মাদক কারবারী নূপুরীকে। মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল নূপুরী ও তার স্বামী মহিউদ্দিনকে আসামী করে মাদক মামলা দায়ের করে ডিবি পুলিশের এসআই তাপস কান্তি রায় । সেই মামলায় নূপুরীকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
এমন সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের সাথে জড়িতে থেকে শেষ পর্যন্ত একাধিকবার গ্রেফতার হলেও কাঁচা টাকার নেশায় যেন মরিয়া হয়ে উঠে নগরীর কিল্লার পুল এলাকার শাহ সাহবের মেয়ে নুপুরী ওরফে মাহবুবা আক্তার নূপুর। তাকে এই মাদকের কারবার থেকে ফেরানো খুব সহজ বিষয় না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।









Discussion about this post