নারায়ণগঞ্জ শহরের ক্রাইজোনখ্যাত খানপুর হাসপাতালের সামনের বিশাল আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এলাকায় মারপিটের শিকার হয়েছে ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও থানা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মোস্তফা কামালের পুত্র মোর্শেদ কামাল ফয়সাল ।
আর এই মোর্শেদ কামাল ফয়সালকে পিটালেন আরেক আওয়ামীলীগ নেতার ভাতিজা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। গুরুতর আহত আবস্থায় মোর্শেদ কামাল ফয়সালকে উদ্ধার করা হলেও শেষ পর্যন্ত নানা কারণে একদিনের মধ্যেই এমন লংকাকান্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে মোস্তফা কামাল।
বোরবার (২ জুলাই) রাতে নগরীর খানপুর এলাকায় এক রুদ্ধধার বৈঠকে ঘটনা মীমাংমা করা হয়েছে বলে জানা মোস্তফা কামাল নিজেই।
এর আগে শনিবার (১ জুলাই) রাতে শহরের খানপুর হাসপাতাল সড়কে মোর্শেদ কামাল ফয়সালের উপর মারধরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশেংয়ের সভাপতি ও থানা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি মোস্তফা কামালের পুত্র ফয়সাল খানপুর এলাকায় তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। এ সময় হাসপাতাল রোডে অবস্থানরত ১২ নং আওয়ামীলীগর সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীরের হোসেনের ভাতিজা তার কয়েক বন্ধুকে নিয়ে গল্প করছিলো। বন্ধু কে খোজঁ করতে আসা ফয়সালের সাথে কোন এক বিষয় নিয়ে তাদের সাথে বাক বিতন্ডতা হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাতিজা ও ডার সহোযোগিরা মোস্তফা কামালের পুত্র ফয়লাস কে উত্তম- মাধ্যম দেয়। সংবাদ পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশেংয়ের সভাপতি ও থানা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি মোস্তফা কামাল সহ শহর ও ফতুল্লার সরকারদলীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। পরে তারা সেখানে গিয়ে ফয়সলা কে উদ্ধার করে। এ নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় বার একাডেমী স্কুল সংলগ্ন আক্তার নুরের বাসায় সমোঝতা বৈঠক বসে। সেখানে বিষয়টি মিমাংসা হয়।
এ বিষয়ে মোস্তফা কামাল জানান, তার ছেলে শনিবার রাতে আক্তার নুরের ছেলের সাথে দেখা করতে যায়। এ সময় আক্তার নুরের স্থানীয় বন্ধুদের সাথে তার ছেলে ফয়সালের ভুল বুঝাবুঝির সৃস্টি হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। সংবাদ পেয়ে আমরাও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলাম। আইনি আশ্রয়ও নেয়া হয়েছিলো। কিন্ত মুরুব্বিদের অনুরোধে আইনি পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছি। আজ (রোববার) সন্ধ্যায় আক্তার নুরের বাসায় বিষয়টি নিয়ে বসা হয়েছিলো। পরে তা মিমাংসা হয়।
উল্লেখ্য, এই খানপুর হাসপাতালের সামনে সিটি করপোরেশনের তৈরী করা অসংখ্য ওষুধের দোকান হিসেবে ব্যবসা করার জন্য বরাদ্ধ নিয়ে সেই দোকানগুলোতে ফাস্ট ফুডের ব্যবসার অন্তরালে অনেকেই নানা অপরাধের আখড়া হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে । আর এই ফাস্টফুডের ব্যবসার নাম করে পুরো সড়ক দখল করায় বিশাল এই সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল করা যেন দুস্কর হয়ে উঠে। সাধারণ মানুষ চলাচল কিংবা নারী নিয়ে ঘুরতে এসে নানা বিরম্বনায় পরতে হচ্ছে এই এলাকায় । প্রতিদিন প্রতিনিয়তঃ মারামারির ঘটনা যেন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে ।









Discussion about this post