‘সোনারগাঁ কেন জাতীয় পার্টিকে দিতে হবে ? প্রধানমন্ত্রী তখন হয়তো কোন না কোন কারণে জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দেওয়ার। জয় বাংলা বলতে পারে না, নৌকার স্লোগান দিতে পারে না, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের করুণ অবস্থা। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনও যাকে দেওয়া হয়েছে তিনিও জাতীয় পার্টির। জাতীয় পার্টি থেকে কেন দিতে হবে ? উনি আওয়ামী লীগের ঘরের সন্তান, উনি আওয়ামী লীগেই চলে আসুক। নাহলে অন্য কাউকে দিক। আমরা এইখানে নৌকা চাই।’
এভাবেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করার আহবান জানিয়েছেন।
রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্মার্ট কর্নার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইভী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য, ইতিহাসকে ধরে রাখার জন্য একটু আগে আমাদের সাধারণ সম্পাদক পাঁচটি আসনে নৌকার যে দাবি করে গেলেন সেই দাবির সাথে একমত পোষণ করি।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ মাটি ও মানুষের শহর। সবকিছুতে সমৃদ্ধ ছিল নারায়ণগঞ্জ। রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে এমন কোন জায়গা নাই যেখানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিকা নেই। বহু আগে থেকে ঢাকা শহরের মিছিল-মিটিং থেকে শুরু করে সকল কিছু এই নারায়ণগঞ্জ থেকে হতো। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আওয়ামী লীগ গঠন করার প্রথম মিটিংটি হয়েছিল এই নারায়ণগঞ্জে। বায়তুল আমানে ওই মিটিং হওয়ার কথা ছিল, পরবর্তীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হলে মিটিংটি আর হতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকার দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুরোধে পাইকপাড়ায় মিউচুয়াল ক্লাবে মিটিং করেছিলেন। এরপর ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। সেই সূত্রে আমরা বলি, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম।’
মেয়র আইভী বলেন, ‘ঐতিহাসিক সেই মিউচুয়াল ক্লাবটিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিয়ে সংরক্ষণ করেছে। জরাজীর্ণ সেই ক্লাবটিকে তিনতলা করে ১৯৪৭ সাল থেকে বর্তমানের সকল প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির ছবি লাগানো হয়েছে, রাসেল কর্ণার করা হয়েছে। সম্ভবত এই মাসের শেষের দিকে কিংবা সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দশটি প্রজেক্ট উদ্বোধন করবেন, সেখানে মিউচুয়াল ক্লাবও রয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা কাউসার আহাম্মেদ পলাশ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে নাসিক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইভী আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের জন্য কী কী করেছে তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে। কেবল নারীর ক্ষমতায়নই নয়, দুঃস্থ নারী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রসূতি নারীসহ এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে উনি কাজ করেন নাই। সামাজিক সুরক্ষার জন্যও প্রধানমন্ত্রী অনেক কাজ করেছেন। এইসব কথা মানুষের কান পর্যন্ত পৌঁছানো উচিত। কেন শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার তা মানুষকে বলতে হবে।’









Discussion about this post