রহস্যজনক কারণে ফতুল্লার কাশিপুরে মুসকান মটরস নামের অটোরিক্সার (ইজিবাইক) শো-রুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ সেলসম্যান সাগরের (১৭) মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সাগর মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার পাঁচগাও শেখ বাড়ীর মোঃ আলমগীর শেখের পুত্র।
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় বুধবার (২ আগষ্ট) নিহতের বাবা বাদী হয়ে মুসকান মটরসের (মুসকান টাওয়ার) মালিক স্বপন হোসেন (৬০) সহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামী করে বুধবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত সাগর ফতুল্লার উত্তর কাশিপুরস্থ রহমান মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করিয়া একই এলাকার মুসকান টাওয়ারের মালিক স্বপন হোসেনের মালিকানাধিন মুসকান মটরস নামের অটো-ইজি বাইক ও ব্যাটারীর শো রুমে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলো।
২৯ জুন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুসকান মটরসের অপর কর্মচারী টিটু (৪৮), আবির (২৭), রাজিব (২২), রানা (৩৮) সহ বাদীর ছেলে নিহত সাগর শো-রুমের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র বিকট শব্দে শোরুমে বিস্ফোরন ঘটে। এতে সকলেই দগ্ধ হয়। বিস্ফোরনের ফলে মুসকান টাওয়ারের নিচতলার মুসকান মটরসের দেয়াল ভেঙ্গে দক্ষিণ পাশ্বে থাকা রফরফ মটরসে গিয়ে পরলে সেই শোরুমের সকল অটোরিক্সা ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ সময় উত্তর পাশের দেয়াল ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী সিরাজুল ইসলামের টিন শেড বিল্ডিংয়ের উপর গিয়ে পরলে বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি আহত হয় বাড়ীর মালিক সিরাজুল ইসলাম (৬০), রোকসানা বেগম (৫৫), সুমন (৩৮) ও রাসেল (৩৬)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মুসকান টাওয়ারের মালিক বিবাদী স্বপন হোসেন তার মালিকানাধীন ৫ম তলা ভবনের নিচতলায় তারই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুসকান মটরসে ইজিবাইক, ইজিবাইকের ব্যাটারি, টায়ার, টিউবসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ মজুদ করে রাখতো। কিন্তু তার উক্ত শোরুমে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও বায়ু নিস্কাশনের কোন সুব্যবস্থা না রাখিয়া এবং তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য ব্যাক্তিদের জীবন ও ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখেনি।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ জুলাই সকালে ফতুল্লার কাশিপুর ভোলাইলে মুসকান মটরস নামের একটি ইজিবাইক শো-রুমে বিস্ফোরন ঘটে। এতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। এখনো বার্ন ইউনিটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে টিটু, রানা ও রাজিব। তাদের মধ্যে টিটুর শ্বাসনালীর ৫৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
এমন ঘটনায় এখনো নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে ঠিক কি কারনে এতো বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনো সকলের কাছে রয়েছে অজানা। ব্যাটারীর কারখানা কিংবা অটো রিকশার গ্যারেজে এমন ঘটনা ঠিক কি কারণে ঘটতে পারে ? এই গ্যারেজে বিস্ফোরক দ্রব্য কি ছিলো ? আর যদি বিস্ফোরক কোন দ্রব্য থেকেই থাকে তা হলে এর বৈধতা ছিলো কিনা এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ক্ষতিগ্রস্থসহ সচেতন মহল।









Discussion about this post