ফতুল্লার কাশিপুরের গিরিঙ্গি মার্কেট এলাকায় ১২ আগস্ট ছয়তলা ভবনের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ সবুজ খন্দকার (২৫) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। আগুনে সবুজের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
একই ঘটনায় দগ্ধ বিথি আক্তার ও তাঁর স্বামী মো. রানা এখনও চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরের যথাক্রমে ৩৫ শতাংশ ও ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবুজ মাদারীপুরের শিবচরের লোকমান খন্দকারের ছেলে। কাশিপুরের গিরিঙ্গি মার্কেট এলাকায় লক্ষ্মী নিবাস নামে ছয়তলা ভবনটির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি।
সবুজের মামা খলিল শিকদার জানান, গিরিঙ্গি মার্কেট এলাকায় সবুজের একটি হোসিয়ারি কারখানা ছিল। ওই কারখানায় কাজ করতেন রানা ও বিথি। তিনজন একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ১২ আগস্ট রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তারা তিনজনই দগ্ধ হন।
ঘরের ভেতর জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ওই সময় সাংবাদিকদের জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহম্মদ।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান আসলামের মালিকানাধীন ছয়তলা ভবনটির পঞ্চম তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের পর দুই পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে। ফ্ল্যাটের ভেতরে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও তিতাস গ্যাসের লাইন দু’টোই ছিল। কোনো একটি লাইনের লিকেজ থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস জমে তা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে ।
এমন ঘটনায় এলাকায ব্যাপক চাউর রয়েছে, “রহস্যে ঘোরা বহুরূপী এই মাসুদুর রহমান আসলামের বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ছাড়াও পূর্বে অনেক অঘটনের হোতা। এই আসলাম কট্টর জামায়াতপন্থি বিএনপির লেবাসধারী হলেও এই প্রেক্ষাপটে ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপকর্ম ঠিক মতো পরিচালিত করতে কখনো আওয়ামীলীগ নেতার সাথে ফুল দিয়ে ছবি তুলে পোষ্ট করে । আবার ওসমান পরিবারের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলর বাবুর সাথে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিজের অবস্থান বোঝানোর অপচেষ্টা করে । আবার একই সাথে অতি সম্প্রতি কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর নানাভাবে নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করে তার অবস্থান বোঝানোর চেষ্টা করে।” ফলে আসলামের বাড়ির এই বিস্ফোরণ গভীর ভাবে তদন্ত করার দাবী করেছে এলাকার অনেকেই।

এলাকাবাসীর এমন মন্তব্য ছাড়াও ওই সময় অনেকেই আরো বলেন, ‘এই আসলামের বিরুদ্ধে জোড়া খুন, ভূমিদস্যুতা, দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে দ্রুত নিজ উঠানেই দাফন ছাড়াও বিগত সময়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বোমা সাপ্লাইয়ের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২নং বাবুরাইলের বিএনপির সেই বোরহান কে দিয়ে বোমা বানানোর সময় পুরো বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে গিয়ে বোরহান মৃত্যুবরণ করলেও সেই রহস্য এখনো রয়ে গেছে অজানা ৷ জোড়া খুনসহ অসংখ্য প্রতারনার মামলার আসামী আসলাম বিএনপির নেতাদের শেল্টারেই সেই ধোপা আসলাম এখন কোটি কোটি টাকা ও অসংখ্য জমির কর্ণধার। আর এখন এই প্রেক্ষাপটে আওয়মীলীগের স্থানীয় নেতা ও বিএনপির নেতাদের সাথে সখ্যতা রেখে ভূমিদস্যুতাসহ নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ।’









Discussion about this post