এক বছর পূর্বে ঠিক আগষ্টের ২২ তারিখ রাত ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ ও তাণ্ডবে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তৎকালীন সময়ে মাসদাইর বেকারির মোড় থেকে গুদারাঘাট পর্যন্ত এ তাণ্ডব চালায় তারা। এসময় দুই গ্রুপের শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য হামলা ভাংচুরে অংশ নেয়।

তৎকালীন সময়ে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা কিশোরদের এতো তান্ডবে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় কারণেই এবার এক বছর পর আবার ফতুল্লায় অর্ধ শতাধিক কিশোর সন্ত্রাসী এক কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ অফিসসহ রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান ও বাসা বাড়িতে লুটপাট চালায়।
শনিবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ফতুল্লার মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরী মোর থেকে মাসদাইর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘ এক কিলোমিটার এলাকায় এ তাণ্ডব চালানো হয়। এতে রূপগঞ্জ থানার এসআই মারুফ সহ অন্তত ১০-১২জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহতদের খানপুর হানপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টায় নেসার ও সাব্বির তাদের বাহিনীর অন্তত অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরী এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এসময় ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শামীম ওসমানের ছবিসহ চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে তারা। এরপর সড়কের পাশে দোকান, রেস্টুরেন্ট ও বাসা বাড়িতে ভাঙচুর করে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে।
সন্ত্রাসীরা মাসদাইর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত এ তাণ্ডব চালিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সড়কে যাকে কাছে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে জখম করেছে। এরমধ্যে রূপগঞ্জ থানার এসআই মারুফ সাদা পোষাকে মোটর সাইকেলে ফতুল্লা থানা থেকে রূপগঞ্জ যাওয়ার পথে মাসদাইর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তার হাতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় এক কিলোমিটার এলাকায় আতংক দেখা দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।









Discussion about this post