আড়াইহাজারে এক গৃহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
গত ২৭ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে নারায়ণঞ্জের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলো : ওই গৃহবধূর সাবেক স্বামী শেখ ফরিদ, তার সহযোগী রাধানগর গ্রামের আ. লতিফের ছেলে মো. হালিম, নোয়াব মিয়ার ছেলে মো. মজিবুর, এসেন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া ও আফাজদ্দিনের ছেলে আ. কাদির।
পুলিশ জানায়, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর (২৫) ৫ বছর আগে রাধানগর গ্রামের আ. লতিফের ছেলে শেখ ফরিদের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শেখ ফরিদ মাদকের টাকার জন্য গৃহবধূকে মারধর করতেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হলেও শেখ ফরিদের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে শেখ ফরিদকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এর এক বছর পর কালাপাহাড়িয়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তার আবার বিয়ে হয়। সুখে শান্তিতেই বসবাস করে আসছিলেন তারা। কিন্তু শেখ ফরিদ ওই গৃহবধূর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোনে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।
গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির পাশের রাধানগর বাজরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনার জন্য বের হলে রাস্তায় শেখ ফরিদ তাকে দেখতে পেয়ে ডাক দেন। ডাকে সাড়া না দিলে শেখ ফরিদ সহযোগীদের সাহায্যে তাকে মেঘনা নদীর ঘাটে উঠিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মাঝনদীতে নিয়ে তারা ধর্ষণ করেন।
এমম ঘটনায় আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।









Discussion about this post