এক সময়ের রূপগঞ্জের অজপাড়াগাঁখ্যাত কাঞ্চন এলাকার কেরাবো দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম হালিম মোল্লা নানাভাবে নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের শাসনামল ২০০৩ সাল থেকেই । এরপর আর এই হালিম মোল্লাকে দমিয়ে রাখা যায় নাই।
বিগত সময় থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেক্ষাপটের প্রতিনিয়ত: প্রকাশ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও তার পরিবারের সকলকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খুনিদের জাতীয় বীর উল্লেখ করে প্রতি জুম্মা নামাজের সময় উস্কানিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে পুরো এলাকাবাসীদের নানাভাবে হুমকিও প্রদান করেন ।
বিএনপি অধ্যুষিত কেরাবো এলাকায় ঈমাম হালিম মোল্লার এমন কর্মকাণ্ডের কেউ টু শব্দ করতে সাহস করতো না ।
নির্ভরশীল সূত্র আরো জানায় এই কেরাবো দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম হালিম মোল্লার নের্তৃত্বে জোট সরকারের শাসনামলে কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী আতাউর রহমান সানীর মতো জংগীদের ট্রেনিং দেয়া হতো ।
এমন উস্কানিমূলক রাজনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত: এই দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের নানাভাবে ট্রেনিংসহ গোপন বৈঠক চলতো বলেও এলাকার একাধিক নির্ভরশীল সূত্র নিশ্চিত করে।
নাশকতা ছাড়াও অজ্ঞাত উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রতিনিয়ত গোপন বৈঠকের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কেরাবো দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদে ঈমান হালিম মোল্লা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ।
দীর্ঘদিনের এমন গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য অভিযোগের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কেরাবো দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম হালিম মোল্লার নের্তৃত্বে জেলা আমীর মো: মমিনুল হক সরকার, জামায়াত নেতা মাহবুব মোল্লাসহ ১৫ জন মসজিদের ভিতরে গোপন বৈঠককালে তাদেরকে আটক করেছে রূপগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর জেলা শাখার আমীরসহ ১৫ নেকাকর্মীকে আটক করায় কাঞ্চন পৌর এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, ‘নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের উদ্দেশে গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ওই মসজিদে অভিযান চালায় ৷ পরে সেখান থেকে জামায়াতে ইসলামীর ১৫ নেতাকর্মীকে করা হয় ৷ তাদের মধ্যে সংগঠনটির জেলা শাখার আমীর মমিনুল হক, রূপগঞ্জ উপজেলার সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা রয়েছেন।’
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ৷ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার এক নেতা বলেন, শুক্রবার রাতে ওই মসজিদে এশার নামাজের সময় তাদের একটি সাংগঠনিক বৈঠক চলছিল ৷ বৈঠক চলাকালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায় ৷
কাঞ্চন পৌর এলাকার কেরাবো দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদ থেকে ১৫ নেতাদের গ্রেফতার করায় সরকার বিরোধী একটি জোটচক্র ঘটনা আড়াল করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।









Discussion about this post