বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে একটি ডায়গনষ্টিক ল্যাব থেকে ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ল্যাবের এক চিকিৎসক ভুয়া চিকিৎসককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ সময় পুলিশ ল্যাবের এক্সরে টেকনেশিয়ান সোহরাব ও তার সহকারী আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে গেছে।
আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক হলো-ইমরান হোসাইন রানা (৩৩) সে নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার পরিচয় দিয়েছেন।
রানা নারায়নগঞ্জের পাগলা পূর্বপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
তার প্রেসক্রিপসনে প্যাডে এমবিবিএস (বিসিএস স্বাস্থ্য) ইএফএইচ (ইন্ডিয়া), এফসিপিএস (মেডিসিন) সিসিডি (বারডেম) ঢাকা, মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন বিভাগ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বলে উল্লেখ করেছেন।
পেশার ও জাতীয় পরিচয় পত্রে সঠিক নাম উল্লেখ করলেও প্রেসক্রিপসন প্যাডে নিজের নাম লিখেছে ডা. ইমরাম হোসনে রানা। ভুয়া চিকিৎসক রানা শেরই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালের বিপরীতে বান্দ রোডে কনিকা ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে চেম্বারে রোগী দেখছিলেন।
ওই ল্যাবের চিকিৎসক ঝালকাঠি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. রিফাত আহমেদ জানান, তিনি রোগী দেখে নিচে নামেন। পরে ল্যাবের পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে গিয়ে ভুয়া চিকিৎসক রানার প্রেসক্রিপসন দেখতে পায়। তখন তার সন্দেহ হলে রানার পরিচয় জানতে চান। তাকে দেখানো কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ভুয়া মনে হলে রানাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
রোগীর স্বজন মো. হানিফ জানান, তার মা জয়ফুল বেগমকে ডাক্তার দেখাতে কলাপাড়া থেকে বরিশাল নগরীতে আসেন। এসে রানার বাসায় উঠেন। রানা তাকে নিয়ে কনিকা ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর রানা নিজের প্যাডে পরীক্ষা লিখে দেয়। পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, একজন ভুয়া চিকিৎসক ও ডায়াগনষ্টিক ল্যাবের এক্সরে টেকনেশিয়ান এবং তার সহকারীকে জনতা সোপর্দ করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।








Discussion about this post