নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীতে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ৷ এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ৫ জন৷
তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুবাহী জাহাজের ধাক্কায় ১১ যাত্রী নিয়ে ভ্রমণের একটি ট্রলার ডুবে যায় মেঘনা নদীতে। সে সময় পাঁচজন সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও, নিখোঁজ হন ছয়জন। এরপর রাত থেকেই নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়।
রাতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারে কিছুটা বেগ পেতে হয় উদ্ধার কর্মীদের। পরে সকালে তাদের সাথে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ডুবুরী দল।
উদ্ধার দল ভোর ৬টার দিকে সুমনা আক্তার নামের ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিখোঁজদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ধ্যার পর প্রতিদিন নদীতে বাল্কহেড চলে। যার ফলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর থেকে অভিযান শুরু করেননি উদ্ধারকারীরা। অনেক দেরি করে কাজ শুরু করায় নিখোঁজদের খোঁজ পেতে দেরি হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন জানান, অসময়ে বাল্কহেড চলাচল ঠেকাতে প্রায়ই তারা অভিযান পরিচালনা করেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের কমান্ডার ও উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম বলেন, যতক্ষণ সব নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া যাবে ততক্ষণ অভিযান চলবে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৬ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিকনিকের একটি ট্রলার। সে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৯ জন।









Discussion about this post