সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া (৫০) নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ব্যবসায়ী দুলাল।
নিহত দুলাল মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান ওরফে ডেঙ্গর আলীর ছেলে।
সোনারগাঁ থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ীক কাজের কথা বলে নিহত দুলালের বড় ভাই ফজল মিয়াকে ডেকে নিয়ে মারধর করতে থাকে প্রতিপক্ষরা।
ফজলকে মারধরের খবর শুনে ফজল মিয়ার পুত্র ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর ও ছোট ভাই মো. দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুলাল মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে রক্তাক্ত জখম করে। ফজল মিয়াকেও ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে তিনি বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাঁর বাম হাতের কব্জি কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়।
পরে এলাকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার দুলাল মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে শুক্রবার রাতে মারা যান আহত দুলাল মিয়া। ওই হামলার ঘটনায় ৪ অক্টোবর আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় রাজ্জাক, জামান, মেহেদি, মহসীন, ইমদাদ হোসেন, শামীম, সজিব, শাহ আলমসহ আরও ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সোনারগাঁ থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ হোসেন (৫৫) ও আরমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসান উল্লাহ জানান, শুক্রবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া। এ ঘটনায় পূর্বের দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। ঘটনার পরে আমরা ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছিলাম। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।









Discussion about this post