নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শাসক দলের ওসমান পরিবারের দুই (!) এমপির শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান বিশাল ফ্যাক্টর। ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক কারণে তাদের অবস্থান খুবই দৃঢ়। এই সংসদ সদস্যগণ ছাড়াও তাদের সন্তানদের নাম ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের অনেক তল্পিবাহক আদা নেতা, সিকি নেতা, পাতি নেতা ও ছিচকে সন্ত্রাসীরা যা খুশি তা করে বেড়াচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনীর নাকের ডগায়।
এমন এক ছিচকে অপরাধী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদ। বর্তমানে ওই ওসমান পরিবারের দুইজন সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সংসদ সদস্যের পরিবারের নাম ব্যবহারসহ তাদের সন্তানদের নাম ব্যবহার করে বন্দর উপজেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেই বেড়াচ্ছে। সেই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদ এবং তার বিশাল অপরাধী চক্র ভুমিদস্যুতা, অটোসহ পরিবহণ থেকে বিশাল চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, একের পর এক খুন, জেনারেটর ব্যবসার অন্তরালে পুরো বন্দর ঘাট এলাকায় প্রতিদিন লাখ টাকা চাঁদা আদায়কারী, আমিন ও রূপালী আবাসিক এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, অবৈধ গ্যাস সংযোগ, বিশাল মোবাইল চোর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, পুরো বন্দর উপজেলায় বিশাল মাদকের নেটওয়ার্ক তৈরী করে ফেনসিডিল, হিরোইন, গাজা ও ইয়াবার পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা ছাড়াও অন্যের বাড়ি দখলসহ সকল ধরণের অপরাধ করেেই চলেছে অসংখ্য মামলা আসামী খান মাসুদ ও তার নিয়ন্ত্রিত চক্র।
এমন অপরাধের সংবাদ প্রকাশ হলে ওই সেই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদ এবং তার বিশাল অপরাধী চক্র মিছিল মিটিং করে উল্টো নিজের সাফাই গেয়ে নানা প্রচার চালায় নানা মাধ্যমে। একই সাথে পতিতাপুত্র হিসেবে পরিচিত কয়েকজন সহযোগী অপরাধীও গণমাধ্যমকর্মীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করাসহ নানাভাবে হুমকি দেয় । আর পুলিশের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহণ করায় এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ভূক্তভোগিদের শায়েস্তা করতে সদা প্রস্তুত থাকে। আর এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদের পক্ষে সাপাই গেয়ে নানাভাবে প্রচার চালায় কোন কোন পুলিশ সদস্যও।
উচ্ছিষ্ঠভোগীরা সাফাই গেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদের গুণ কীর্তন করলেও এবার নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের অভিযানে আবারো উম্মোচন হয়েছে এই খান মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরা বন্দর উপজেলার জন্য কতটা ভয়ংকর। বন্দর থানা পুলিশ যেমন তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না তেমনি বন্দরের কোন গণমাধ্যমকর্মী প্রকাশ্যে এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে সাহস করে না । কারণ সাংবাদিক হত্যা করেও খুব সহজেই হজম করে ফেলেছে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদ।
বন্দর থানা পুলিশ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণ জিম্মি থাকায় এতো অপরাধের ঘটনা ধামাচাপা পরায় এবার বন্দরের সেই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দরোয়ানপুত্র মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদে খান মাসুদের ভাই পায়েল খানকে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (৮ অক্টোবর) বিকালে বন্দরের লেজারস আবাসিক এলাকা থেকে তাকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ৩০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
এই ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সৈয়দ রুহুল আমিন।
গ্রেফতার পায়েল খান (৪০) বন্দরের উইলসন রোডের খান বাড়ির সামসুদ্দিন খানের ছেলে ও যুবলীগ নেতা খান মাসুদের বড় ভাই এবং কবরস্থান রোডের সামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে নুর আলম (৫৫)।
মামলায় পুলিশ উল্লেখ করে, পায়েল খানের প্যান্টের পকেট হতে ২৫ গ্রাম এবং নুর আলমের কাছ থেকে ৫ গ্রামসহ মোট ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকা হইতে সংগ্রহ করে বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ড এলাকা সহ আশপাশ এলাকায় মাদক বিক্রি করে।
এমন ঘটনায় বন্দরের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, বন্দরে কেউ এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে টু শব্দ করতে সাহস করে না । সকলেই যেন এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ ওরফে টোকাই মাসুদ ওরফে খান মাসুদ বাহিনীর কাছে জিম্মি।








Discussion about this post