ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় দুই পাশে ফুটপাতে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ভুলতায় এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও এ রিপোর্ট লেখাকালীন পর্যত সোমবার রাত ১০ টায় ফের গ্রুপে গ্রুপে মহড়া দেয়ায় ভুলতা এলাকার মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুলতা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে নূর ম্যানশন, গাউছিয়া মার্কেট, তাঁতবাজার, আব্দুল সুপার মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট ও রিজোয়ান টাওয়ারসহ প্রায় ২০টি মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটের সামনে অবৈধভাবে ফুটপাতে হকার বসিয়ে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়।
চাঁদার নিয়ন্ত্রণ করেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার ও তার ভাই ফরহাদ শিকদার, ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও তার ভাই দোলন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিদ্যুৎ হাসান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, যুবলীগ নেতা সৌরভ, সিয়াম, কাউসারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগ কর্মী ইমু ও কয়েকজন যুবলীগ নেতা মিলে ফুটপাতের চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
রোববার বিকেলে ছাত্রলীগকর্মী ইমুর লোকজন ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল সিকদারের লোকজন রামদা, চাপাতি, ছামুরাইসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একপক্ষ আরেকপক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ৮ পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভুলতা এলাকার মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ী ও মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের এমন মন্তব্যের পর সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেন, “আসলেই পুলিশ অসহায় । একটি বিশাল এই বাহিনী যারা রাস্ট্রের জন্য কাজ করবেন তারা নানা কারণে অসহায় ভূমিকা পালন করছেন । একদিকে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নানা আদেশ নিষেধ মেনে কোন কোন্দলে না জড়িয়ে চুপচাপ অবস্থান ই গ্রহণ করছেন । নইলে পুলিশ যদি স্বদিচ্ছা দেখায় তাহলে এক ঘন্টার মধ্যে রূপগঞ্জের এই পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব । তাই পুলিশ নিজেদের পিঠ রক্ষা করে একদিকে এই চাঁদাবাজ চক্রের সাথে আতাঁত করেই যতটুকু সম্ভব তাই করে যাচ্ছেন।









Discussion about this post