কথায় আছে, ‘কয়লা ধূইলে ময়লা যায় না।’ সেই প্রবাদের আবারো প্রমাণ করলো সেই ডাকাত গেসু ওরফে গিয়াসখ্যাত কাশিপুরের নানা অপরাধের হোতা সেই গিয়াস উদ্দিন ও তার পুত্রদের কেউ কেউ । পেটের দায়ে এক সময়ে এই গিয়াস উদ্দিনের পরিবার সদস্য নিষিদ্ধ পল্লীতে কাজ করলেও বর্তমানে এই পরিবার শত শত কোটি টাকার মালিক হলেও তাদের চরিত্র কোন অবস্থাতেই পরিবর্তন ঘটে নাই।
বিএনপির শাসনামলে এই গিয়াস উদ্দিন কারাগারে বন্দি সেই জাকির খানের নাম ব্যবহার এবং তার ভাই কবির খানের শেল্টারে নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালানোর সময় বর্তমান কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদলকে শেল্টার দেয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সাইফ উল্লাহ বাদলকে বিয়াই সম্পর্ক তৈরী করে কখনো শামীম ওসমান, কখনো অয়ন ওসমান, কখনো সেলিম ওসমান আবার কখনো প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে রাম রাজত্ব।
এমন ঘটনার পর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নাই এই ডাকাত গিয়াসের পরিবারকে।
সেই গিয়াস পুত্র এবার সেই আজমীর ওসমানের নাম ব্যবহার করে সদর উপজেলার বক্তাবলীর চররাজাপুরের ব্যবসায়ী আলমাস দেওয়ানের মিল দখল করে নিয়েছে ডাকাত গিয়াসউদ্দিন এর পুত্র সুমন এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা ।
ভূমিদস্যু সুমন ও শাহিন বাহিনী আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগে জেলা পুলিশ সুপার ও ফতুল্লা মডেল থানা এবং র্যাব-১১ কে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন ভূমিকা পালন করেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
জমির মালিক ইমরান দেওয়ান রবিবার (২২ অক্টাবর) দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য তুলে ধরা হলো : মোঃ ইমরান দেওয়ান (৩৩), পিতাঃ হাজী আলমাস দেওয়ান, সাং- শাসনগাঁও, দেওয়ান বাড়ী বিসিক, থানা- ফতুল্লা, জেলা নারায়নগঞ্জ । কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী আমার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে। যদি চাঁদা না দেই তাহলে তারা আমার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নস্থ চর রাজাপুর এলাকায় আমার নিজ খরিদকৃত ও নামীয় ১৭ (সতের) শতাংশ সম্পত্তির উপর ফ্যাক্টরি দখল নিয়ে নিবে এবং আমার প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে।
তাই আমি ঐ সন্ত্রাসীদের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। সন্ত্রাসীরা হলেন- উত্তর নরসিংপুর এলাকার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সুমন, চররাজাপুর এলাকার শাহিন, পঞ্চবটী চাদনী হাউজিং এলাকার মৃত.আবদুল গফুরের ছেলে হামিদ প্রধান, ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার নাসির, মাসদাইর দাতা সড়ক এলাকার মৃত .রোস্তম আলীর ছেলে পিজ্জা শামীম, শাসনগাঁও এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে মুন্না, একই এলাকার মৃত.হারুন মিয়ার ছেলে সজিব, মুসলিমনগর এলাকার মৃত.আকবর আলী বেপারীর ছেলে সাদ্দাম বেপারী, নবীনগর এলাকার শাহিন দর্জির ছেলে ইমরান দর্জিসহ আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত।
তাদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ৩০-০৯-২০২৩ ইং তারিখে রাত ০৯.৩০ মিনিটে আমার নিজ বাড়িতে চাঁদার জন্য আসে।
উল্লেখিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের তনয় আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন লোকদের জমি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান দখলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ করার পর পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সন্ত্রাসীরা অদ্য ১৯-১০-২০২৩ ইং বিকাল আনুমানিক ৩.৩০ ঘটিকায় উল্লেখিত বিবাদীগণ দেশীয় ধারালো ছুড়ি, চাকু, ও অস্ত্রসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার ফ্যাক্টরির ভাড়াটিয়াদের মারধর করিয়া ফ্যাক্টরির জরুরী যন্ত্রাংশ সহ মালামাল নিয়া জোরপূর্বক ফ্যাক্টরির ভাড়াটিয়া ও শ্রমিকদের বাহির করিয়া আমার ফ্যাক্টরির মেইন গেটের সামনে ইট ও সিমেন্ট দিয়ে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে। এবং আমার ফ্যাক্টরির মধ্যে দেওয়ান স্টিল বিল্ডিং নামীয় দোকানের প্রায় ৩৫,০০,০০০/= থেকে ৪০,০০০০০টাকা মূল্যের ঢেউটিন ও প্রোফাইল টিন এবং অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল মালামাল লুট করিয়া নিয়ে যায়। উক্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপের প্রমাণ যেন না থাকে তাই তারা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা, ডিভিআর মেশিন ভেঙ্গে ফেলে।
উক্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার প্রতিষ্ঠানের সামনে দেয়াল নির্মাণ করার সময় আমি ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সাহায্য চাহিলে তারা আমাকে আশ্বস্থ করেও কোন পুলিশ পাঠায় নাই। আমি পরপর তিন বার ৯৯৯ এ কল করি। তাদের কোন সহযোগিতা না পেয়ে গত ১৯-১০-২০২৩ ইং তারিখে আমি ও আমার পিতা সশরীরে ফতুল্লা থানায় যাই এবং একটি অভিযোগ দায়ের করি। থানা থেকে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পায়। পুলিশ দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় ও দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করে।
ফতুল্লা থানার পুলিশের নিরব ভূমিকা দেখে আমরা ২১-১০-২০২৩ ইং তারিখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এর আগে আমি ০৯/১০/২০২৩ইং তারিখে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ করি এবং ১১-১০-২০২৩ ইং তারিখে রেব-১১ সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ এ অভিযোগ করি এবং তাদের পরামর্শে র্যাব-১১ সিপিসি ১ কালিবাজার, নারায়নগঞ্জ শাখায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করি।
কারো কাছে কোন সহযোগিতা না পেয়ে আজ আমি সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হই। আপনাদের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আইনি সাহায্য কামনা করছি। আমার ফ্যাক্টরি জায়গা ও আমার জানের নিরাপত্তা চাচ্ছি বলে আবেদন করেন আলমাস দেওয়ান।









Discussion about this post