নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসাযীদের অপতৎপড়তা কোনভাবেই থামানো যায় নাই কোন কালেই । ব্যবসা সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলায় ব্যবসার অন্তরালে সকল ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে জোড়ালোভাবেই। অপরদিকে এই অপরাধ কার্যক্রম বন্ধ করতে যাদেরকে দেশের জনসাধারণের কষ্টাজিত ট্যাক্সের টাকায় বিশাল বেতন বোনাস দিয়ে লালন পালন করছে সেই সকল সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তারা এই রমজান ও ঈদে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের মতো নানাভাবে চালিয়ে বিশাল নগ্ন বাণিজ্য ।
এ যেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ।
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে পাইকারী ব্যবসা কেন্দ্র এলাকায় নকল ও নিম্ন মানের সেমাই তৈরী হচ্ছে বিরামহীনভাবে । ভেজাল ভ্যেজ্য তেলের কারবার, চোরাই গমের বিশাল ব্যবসা করে ডিম ওয়ালা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও কোন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাই এই সকল অসংখ্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নিতে দেখা যায় নাই । এর নেপথ্যের কারণ খুজতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ভয়ংকর তথ্য । আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনেকে সদস্য এই সকল অপরাধীদের সাথে মিলেমিশে নিতাইগঞ্জের চোরাই কারবারী, খাদ্যে ভেজাল, পরিবেশ ধ্বংস, অনৈতিক কার্যকলাপসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে পুরো চক্রটি ।
ব্যবসার নামে এমন অপরাধ সম্পকে অনেকের প্রশ্ন : শিল্পঞ্চল নারায়ণগঞ্জের ৭ টি থানা এলাকার ব্যবসাযীরা অপরাধী কার্যক্রম সচেতনতার সাথে মারাত্মকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রকৃত খবর কি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অজানা ? মুড়ির কারখানাগুলোতে কি পরিমান বিষাক্ত ইউরিয়া সার ও হাইড্রোজ মিশানো হচ্ছে তা কে জানেন না ? অপরাধ কোথায় কোথায় কি কি হচ্ছে তা সকল সংস্থার জানা থকেলেও আগে থেকেই অপরাধীদের সাথে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সাথে গোপন চুক্তি সম্পন্ন করায় কোন অপরাধীরা বিন বাধায় তাদের অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ।
তোলপাড় করা বিএসটিআইর মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন কোম্পানির ৫২টি খাদ্যপণ্য বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট, ব্যবস্থা নিতে বলেছে উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে। ৫২টি মানহীন খাদ্যপণ্য বিক্রি বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে ৮টি খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কারখানা নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সরিষার তেল- সিটি অয়েল মিলের তীর, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা, শবনম ভেজিটেবল অয়েলের পুষ্টি ব্র্যান্ডগুলো। এসিআই সল্ট ও মোল্লা সল্ট, ড্যানিশ, ফ্রেশ, নিউজিল্যান্ড ডেইরির ডুডলি নুডলস। এমন অসাধু পন্থায় নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কেউ কি জানতো না এই ব্যবসায়ীরা নানাভাবে দেশের মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসার নামে অপরাধ করে যাচ্ছে ? সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এমন অপরাধের থথ্য থাকলেও নিয়মিত মাসোয়ারার কারণে সকল সংস্থাই এতোদিন ছিলো নিশ্চুপ ।
ভেজাল খাদ্য ব্যসাযীদের সাথে সাথে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অসাধু কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জ চষে বেড়াচ্ছে বাড়তী আয়ের আশায় । যেমন শহরের অনেক বহুতল ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে কোন আইন মানা হয় না । ঢাক ঢোল পিটিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় দায়িত্বরত রাজউক কর্মকর্তারা ভিবিন্ন ভবন মালিকদের প্রথমে নোটিশ দিলেন, এরপর চালানো হলো অভিযান । এমন নোটিশ ও অভিযানের খবর অনেকেই ধর্ণা দিলেন রাজউক কর্তাদের কাছে । দরকষাকষির পর দিলেন উৎকোচ । তৈরী হলো তালিকা । কোন কোন ভবন মালিক লিয়াজো করছে আর কারা লিয়াজো করছেন না, এমন তালিকা ধরে চালানো হলো ফের অভিযান। ভেঙ্গে দেয়া হলো চাষাড়ার জয়নাল ট্রেড সেন্টার ও আমলাপাড়ার শাহ সুন্দর টাওয়ার । এমন অভিযানের পর কুখ্যাত অপরাধী ভূমিদস্যু জয়নাল আবেদীন ,মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করলেন রাজউক কর্তাদের অপরদিকে আরেক কুখ্যাত অপরাধী এক সময়ের ডিম বিক্রেতা /আমলাপাড়ার ভিউ কার্ড বিক্রেতা সোহাগ অত্যান্ত ধূর্ততার সাথে রাজউক কর্তাদের ম্যানেজ করে আবার ভেঙ্গে ফেলা অবৈধ ভবন নির্মান করলেন এক পলকেই । প্রকাশ্যেই এমন দৃশ্য দেখে শহরবাসী হতবাক । আসলেই তো ঘুষ দিলে সবই সম্ভব । এই সোহাগ নারায়ণগঞ্জে বিশাল অপরাধ ( ফিরিস্ত প্রকাশ হলে অনেকের চোখ কপালে উঠবে) করেও বীরদর্পে অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অসাধু কর্মকর্তারা ও কিছু বিশেষ পেশাল লোকজনদের শেল্টারে ।
নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সোহাগ, পরিতোষ, দুলাল জাহিদ, কলমসহ অনেক অপরাধীরা তাদের সাম্রাজ্য এখনো অব্যাহতভাবে চালাচ্ছে প্রশাসন ও বিশিষ পেশার কিছু অপরাধদের ম্যানেজ করেই ।
রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে যে সকল অপরাধীরা আরো অপরাধী কার্যক্রম জোড়ালোভাবে চালাচ্ছে তাদের থামাতে হলে অসাধু কর্মকর্তাদের বিতারিত করা জরুরী বলে মনে করেন ভোক্তা সাধারণ ।









Discussion about this post