শেষ পর্যন্ত নানা বিতর্কের পর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ৷
নগরীর ফুটপাত থেকে শুরু করে নিতাইগঞ্জের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীসহ খোদ থানার সামনের দরিদ্র ভাসমান হকারদের কাছ থেকে নগ্ন পন্থায় চাঁদাবাজি করে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো নগরবাসীকে।
একই সাথে আনিচুর রহমানের কয়েকজন ব্যাচমেট কে ব্যবহার করে প্রায় প্রতিদিন সদির থানার দ্বিতীয় তলায় বিচার সালিসি করে বিশাল বাণিজ্যালয় হিসেবে থানাজে ব্যবহার করে আসছিলো। একই সাথে আনিচুর রহমান মোল্লার ছিলো কয়েকজন গোপন ক্যাশিয়ার।
সদর থানা পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে জানায়, এই আনিচুর রহমানের সহকর্মী বন্ধু (দারোগা) দের দিয়ে সকল ধরনের অপরাধ করায় এবং খোদ পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিলো শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ।
আর এমন অসংখ্য অপরাধের ঘটনায় শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিলো মারাত্মক হুমকির মুখে।
এমন অপকর্মের পর এবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আনিচুর রহমান মোল্লাকে প্রত্যাহার করে নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহাদাত হোসেন৷
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
এসময় তিনি দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
শাহাদাত হোসেন এর আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ সর্বশেষ রাজবাড়ী সদর ও পাংশা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ রাজবাড়ীতে থাকা অবস্থায় নিজের কর্মদক্ষতায় বহুবার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার পান তিনি।
সদ্য বদলি হওয়া আনিচুর রহমান মোল্লা আড়াইহাজার থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ পরে তাকে সদর মডেল থানায় বদলি করা হলে বিগত প্রায় দুই বছর চাকরিকালীন সময়ে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় তুলে নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন ।
নতুন ওসি শাহাদাত হোসেন যোগদানের খবরে নগরবাসীর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকের বলেছেন, ‘একজন ওসি নগরসবাসীকে শান্তিতে রাখতে পারেন যদি তার স্বদিচ্ছা থাকে ।’









Discussion about this post