নিজস্ব প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধি
ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সমর্থক সোহান এবং বিসিকের সম্রাটের নেতৃত্বে শান্তি মিছিলে যোগদানরত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নারী নেত্রীদের উত্যক্ত করেন বলে অভিযোগ করেন শ্লীলতাহানির স্বীকার নারীরা।
এসময় থানা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করলে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে উভয় সমর্থকদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ২০ (নভেম্বর) সোমবার দুপুরে ফতুল্লা মোস্তাফিজ সেন্টারের সামনে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক এবং ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে যোগদানের জন্য আগে থেকেই মোস্তাফিজ সেন্টারের পাশের সড়কটিতে অবস্থান নেন ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হকের কর্মী সমর্থকরা। ঐ সড়কটিতেই ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
এসময় যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সমর্থক সোহান এবং সম্রাটের নেতৃত্বে একটি মিছিল থানা গেইট সংলগ্ন যুবলীগ কার্য্যালয়ের সামনে যাওয়ার সময় মোস্তাফিজ সেন্টারের সামনে পৌছালে পূর্ব থেকেই অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল হকের নারী কর্মীদের উত্যক্তসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় ঐ মিছিল থেকে।
যুবলীগ কর্মী মিছির আলীর এহেন কর্মকান্ডে ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে দু-গ্রুপের সমর্কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং মুহুর্তের মধ্যেই আতংক ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে দু-পক্ষের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং পঞ্চবটি শান্তি মিছিলে যোগদান করেন।
ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী বলেন, কি নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই।
ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক বলেন, শুনেছি আমার মিছিলে যোগদানরত নারী কর্মীদের উত্যক্ত করা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিস্তারিত এখনো জানি না।









Discussion about this post