হাতেনাতে ধরা পরলো নারীসহ ৫জন অপহরণকারী । আবার সেই ব্লাকমেইল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফতুল্লায়। নানাভাবে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের ঘটনায় আটককৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানোর পর সিনিয়ন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসাদ বেগম পাঁচ অপরাদকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এমনটি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান।
অপহৃত ব্যাক্তির অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘বাবা গুরত্বর অসুস্থ। এই মুহুর্তে বাসায় যাওয়া লাগবে’ এমন আকুতি মিনতি করে ঔষধ ব্যবসায়ীকে ইজি বাইকে উঠায়। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও ৩-৪ জন উঠে গাড়িতে। এক পর্যায়ে পেটের মধ্যে ছুড়ি ঠেকিয়ে নিয়ে যায় সংরক্ষিত এক বাড়িতে। সেখানে মারধর করে মুক্তিপন আদায় করে, এমকি মোবাইল ব্যাংকে থাকা টাকাও তুলে নেয়। এক পর্যায়ে উদ্দেশ্য হাসিল হলে ছেড়ে দেয় ওই ব্যবসায়ীকে। জীবন নিয়ে বেঁচে ফিরে রাস্তায় আসতেই দেখা হয় নিয়মিত টহল পুলিশের সাথে। এরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হানায় নারীসহ আটক হয় ৫ জন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ফতুল্লা ওসমান আলী স্টেডিয়ামস্থ পলিটেকনিক স্কুলের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকা থেকে তাকে ইজি বাইকে তুলে নিয়ে যায়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আজম মিয়া।
আটককৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার চর ধলেশ্বরী এলাকার আকাশের মেয়ে মনিকা (১৮), সদর উপজেলার ফতুল্লা ওসমান আলী স্টেডিয়াম এলাকার ইউসুফ আলমের ছেলে ছগির হোসেন ওরফে রাজু (৩৭), মো. বাদশা মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ (৩৫) , সৈয়দ মজিদ আলীর মেয়ে রেহেনা (২৫) ও মৃত কালু প্যাদার মেয়ে লাইলী (২৫)।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আজম মিয়া জানান, ব্যবসায়ীকে অবৈধভাবে আটক রেখে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এর সেখানে নির্যাতন করে তার কাছ থেকে নিগদ ও বিকাশ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে ৫ জনকে সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেছে। মামলা দায়েরের পর আটক ৩ নারী ও দুই যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে । আদালত থেকে এই পাঁচ অপরাধীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।









Discussion about this post