দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার পর প্রার্থীরা আর কোনো সভা-সমাবেশ, নির্বাচনী গণসংযোগ, শোভাযাত্রা, মিছিল করতে পারবেন না। কারণ ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হবে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার।
কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গণসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে কেটলি প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলার আধুরিয়া ও কৈশাব এলাকায় এই গণসংযোগ করেন তারা। এসময় প্রচারণার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ এবং কয়েকজন ব্যক্তির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় শাহজাহানের অনুসারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার আধুরিয়া ও কৈশাব এলাকায় শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গণসংযোগ করেন শাহজাহান। এসময় তিনি তার ব্যবহৃত গাড়িটি মূল সড়কের পাশে রেখে রিকশায় চড়ে কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, শাহজাহান ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ টাকা বিলি করেছেন। এসময় কেউ যেন মোবাইল ফোন বের না করে, সেই জন্য সতর্ক অবস্থানে ছিলেন তার কর্মীরা।
আধুরিয়া এলাকার একটি সেলুনের মালিক জানান, গণসংযোগ করার সময় এলাকার মহিলাদের সাথে কথা বলেন শাহজাহান। এসময় তার গণসংযোগের ছবি তুলতে দেননি তার লোকজন। বরং শাহজাহানের গণসংযোগের ভিডিও করায় এক ব্যক্তির মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এদিকে, এ খবরে কৈশাব এলাকায় সাংবাদিকরা ছুটে গেলে শাহজাহানের কর্মীরা সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করেন। এমনকি মোবাইল বা ক্যামেরা বের করতে দেয়া হয়নি।
এদিকে, গণসংযোগ শেষ করে শাহজাহান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রিকশা যোগে গাড়ির সামনে এসে সাংবাদিকদের দেখে দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে যান।
শাহজাহান ভূইয়ার এমন কর্মকান্ডে রূপগঞ্জের অনেকেই বলেন, মূলতঃ শাহজাহান ভূইয়া পূর্ব থেকেই আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ার কারণে কোন আইন মানেন না। তিনি বিগত সময়েও আনশৃংখলা বাহিনী ও দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যা খুশি তাই করেন । আর এবার ভূমিদস্যু গডফাদারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকায় ম্যানেজ হয়ে ‘গাজী হটাও’ মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচানের সময়ও আন্ডা রফিককে দিয়ে এমন ‘গাজী হটাও’ মিশন নিয়ে কাজ করেছিলো ওই ভূমিদস্যু গডফাদার । একই কায়দায় এবার শত কোটি টাকায় একদিকে শাহজাহান ভূইয়াকে অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের একাটি গডফাদার চক্রের মাধ্যমে তৈমূর আলম খন্দকারকে দিয়ে তৃণমূল বিএনপির ব্যানারে ‘গাজী হটাও’ মিশনের অংশ হিসেবে নির্বাচনের নামে অপকর্ম চালাচ্ছে ।
পরবর্তীতে এই বিষয়ে জানতে শাহজাহানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল জানান, আজ সকাল ৮টার পর থেকে কেউ ই কোনো ধরনের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবে না। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে প্রচারণা চালায়, তাহলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
এদিকে, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রচারণার ৩টি ছবি পেয়েছি। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।








Discussion about this post