কি করলেন তৈমুর ? বিএনপি নেতা নাজমুল হুদার হাত ধরে বিআরটিসির চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচন করে ছিটকে পড়েন তৈমুর ।
নাসিকের প্রথম নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকার কে সরিয়ে নেয়ার পর নানা টানাপোড়েনের পর ফের নাসিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বহিষ্কার হন বিএনপি থেকে ।
শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত তৈমূর আলম খন্দকার যে সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার অধিকাংশটাই নারায়ণগঞ্জের শাসক দলের একজন নেতার আংগুলের ইশারায় করে যাচ্ছেন বলে তৈমুর আলম খন্দকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছেন
আর ওই শাসক দলের প্রভাবশালী নেতার ইশারায় একের পর এক এম৷ সিদ্ধান্ত নেয়ার কারনে ‘আম ছালা দুই-ই হারালেন’ তৈমুর আলম খন্দকার।
তৃনমুল বিএনপির তিন প্রার্থীর সকলেই লজ্জাকর পরাজয় বরন করেছেন। রাজনীতিতে নির্বুদ্ধিতা একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য ধ্বংস বয়ে আনে। আর তাই ঘটলো তৈমুর আলমের কপালে। যাদের হাত ধরে তার উত্থান তাদের পরামর্শেই রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটল তৈমুরের। তাকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ মহল থেকে বলা হয়। কিন্ত তার পরামর্শকরা নারায়ণগঞ্জ ৫ নয়, নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে নির্বাচনের টোপ দেয়। সেই টোপ গিলেন তৈমুর। বিরোধে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তৈমুরকে ১ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। একটি সূত্র জানায়, তৈমুরের জন্য নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনটি খালী রাখা হয়েছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ভোট পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। শুরু থেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে ভোট করে জামানত হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ভোট পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট। শুরু থেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করলেও নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে ভোট করে জামানত হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
আজ রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ফলাফল কেন্দ্র থেকে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল।
এই আসনে চতুর্থবারের মতো জয় পেলেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাহান ভূইয়া কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।
লজ্জাস্কর হারের পর ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেন তৈমূর আলম খন্দকার। তবে ভোট বর্জনের ঘোষণা না দিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমার শরীরটা সুস্থ হলে চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে কথা বলে আমি কথা বলব। নির্বাচন বয়কট করে লাভ নেই। বয়কটে কোনো উপকার নেই।
তৈমুর আলম খন্দকারের এমন বক্তব্যের পর কেউ কেউ বলেন, আসলে তিনি কার সাথে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরামর্শ করবেন তা তিনি (তৈমুর) নিজেই জানেন। তৈমুর আলম খন্দকারের নেক্সট টার্গেট কি তা কিছুদিনের মধ্যেই অনুধাবন করতে পারবে নারায়ণগঞ্জবাসী । তার গোপনীয় রাজনৈতিক গুরুর কারণে ই তৈমুর আলম খন্দকার এখন ছন্নচগাড়া। তৈমুর এবং তার গুরু মনে করেন নারায়ণগঞ্জবাসী কিছু বুঝে না, অন্ধ। নারায়ণগঞ্জবাসী খুবই রাজনৈতিক পরিপক্ক জ্ঞান রাখেন। এমন মন্তব্য ছাড়াও অনেক গোপনীয় বৈঠকের খবর চাউর হচ্ছে নগরীতে ।








Discussion about this post