‘রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে যত অপকর্মই করুক না কেন কোন অপরাধেই যেন আইনশৃংখলা বাহিনী স্পর্শ করতে পারে না । সাস্প্রতিক সময়ে এমনটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে প্রমাণ করেছে কুখ্যাত অপরাধী নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি। মতি একাধারে কুখ্যাত অপরাধের কারণে সর্বোচ্চ সাজায় কারাগারের কনডেম সেলে থেকে বেড়িয়ে এসে নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করে প্রভাব বিস্তার করে সকল অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছেন পুরো সিদ্ধিরগঞ্জে । সেই কাউন্সিলর মতির বিরুদ্ধে দূদকের মামলায় ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে এমপি, ওসিসহ সকল আইনশৃংখলা বহিনীর মাঝে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন তার হাতে ক্ষমতা আছে ! কিচ্ছুই করতে পারবে না কেউ !
তেমনি নারায়ণগঞ্জ সদর আসনের বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক । কি হবে তার ? তারও মাথার উপর আছে ক্ষমতাসীনদের হাত । সেই ২০২০ সাল ২৬ ফেব্রুয়ারী জন্মনিবন্ধন সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স খাতের ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সচিবের পর এবার বরখাস্ত হয়েছিলেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ। তাতে কি হয়েছিলো ? তিনি তো আবার বহাল হয়েছেন। এরার দুদক মামলা করেছে । কি আর হবে তার ? যে লাউ সেই কদু। আদালতে হাজির হয়ে হয়তো বিতর্ক এড়াতে জামিন নেবেন নয়তো নতুন কোন ঘটনার জন্ম দিবেন । কিচ্ছুই হবে না এহসানের । মতির মতো কিচ্ছুই হবে না ।’
এভাবেই মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের শাসক দলের কয়েকজন নেতা।
মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।’ এমন সংবাদ প্রকাশের পব নগরীর বোস কেবিনের আড্ডায় কয়েকজন প্রবীন নেতা উল্লেখিত ভাষায় এমন মন্তব্য করেন ।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, ২০২০ সাল ২৬ ফেব্রুয়ারী জন্মনিবন্ধন সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স খাতের ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সচিবের পর বরখাস্ত হয়েছিলেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ । সেই ঘটনার দুই বছর পর আবার বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
সেই ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ (৫২), সাবেক সচিব শামীম মিয়া (৪৬), সাবেক সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ (৪৩)।
বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন সমন্বিত নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক। মামলার বাদী হয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত দুই সাবেক সচিবের যোগসাজশে জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধনের ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া একই ব্যক্তি দুইটি আইডি তৈরি করে একটির মাধ্যমে সনদ প্রদান ও অপরটির মাধ্যমে জাল জালিয়াতি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।
ওমর ফারুক বলেন, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও তার দুই সাবেক সচিবের নামে মামলা দায়ের ও সমন পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে শামীম মিয়া বর্তমানে সোনারগাঁ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে এহসান উদ্দিন চেয়ারম্যানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।









Discussion about this post