শেষ পর্যন্ত নানা সমালোচনার পর টনক নড়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের। ব্যাপক দূর্ণীতি, নানা পন্থায় নদী ও নদীর তীরে চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারাসহ নানা কারণে একেকজন কর্মকর্তা কর্মচারী যেন একেক ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের মহাজনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে লুটপাটের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে অবিরামভাবে ।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তাদের এমন অসংখ্য অভিযোগের পর এবার নতুন সরকারের শাসনামলে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলে থাকা সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ডিক্রিরচর এলাকায় ধলেশ্বরী তীর গড়ে উঠা ইটভাটার গাইড ওয়াল, বাঁশের পাইলিংসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ ।
এমন উচ্ছেদের ঘটনা দেখে স্থানীয়দের অনেকেই কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এতোদিন তাইলে এই অবৈধ স্থাপনা টিকিয়ে রাখতে বিআইডব্লিউটিএ এর কোন কর্তা নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়েছেন ? তার বিচার করবে কে ? নাকি এই অভিযান লোক দেখানো !’
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পারিচালিত হয়। এসময় অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন ইটভাটার সাতটি গাইড ওয়াল, ১০ বালুর গদি, ১৬ বাঁশের পাইলিংসহ ৩৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া নৌযান অধ্যাদেশ আইনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তিন বাল্কহেডের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, ধলেশ্বরীর দুই পাশে গড়ে ওঠা ইটভাটার গাইড ওয়াল ও বাঁশের পাইলিং নির্মাণের মাধ্যমে নদী দখল করা হয়েছিল। আমরা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন মজুমদার ও সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে উৎসুক জনতার অনেকেই উপস্থিত থাকলেও অবৈধ দখলদারদের কেউ কোন প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ না করায় উচ্ছেদ এই অভিযানকে ‘বিআইডব্লিউটিএ এর নতুন নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। কয়েকদিন পর আবার বিআইডব্লিউটিএ এর ওই অসাধুদের ম্যানেজ করে আবার দখল হবে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ ।









Discussion about this post