নারায়ণগঞ্জে শাসক দলের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান কিংবা তার ভাই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান অথবা ওসমান পরিবারের প্রয়াত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমান ছাড়াও অয়ন ওসমানের সাথে যে কেউ কোন না কোন উপায়ে ছবি তুলে প্রচার করতে পারলেই তিনি নিজেকে হিরো মনে করেন । এমন অসংখ্য হিরো নারায়ণগঞ্জে প্রভার বিস্তার করে তান্ডব চালানো ছাড়াও নানা কৌশলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেই যাচ্ছে। এমন অপরাধীদের ঠেকাতে না পারায় থানার গেইটে তান্ডব চালানোর দুঃসাহস করে। যার কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচনা চলছে নগরীজুড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
দুবাই থেকে নিয়ে আসা স্বর্নের বার কে কেন্দ্র করে ফতুল্লা থানা গেইটে সরকার দলীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী দুটি গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। সেবা প্রার্থীরা হামলার ভয়ে দৌড়ে থানা কম্পাউন্ডের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত নয়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা গেইটের (প্রবেশ মুখে) সামনে। এমন ঘটনার একদিন অতিবাহিত হলেও থানার গেইটে সংঘর্ষের বিষয়টি এখনো জানেন ই না ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজেই। ওসি জানান, তিনি এমন ঘটনার খবর ই পান নাই ।
তথ্য মতে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া দুটি গ্রুপের একটি নেতৃত্বে ছিলো শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার দূধর্ষ সন্ত্রাসী বহু সংখ্যক মামলার আসামী কথিত ছাত্রলীগ নেতা শামীম হোসেন ওরফে ভাতিজা শামীম এবং অপর একটি গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলো এক সময়কার শীর্ষ চোরাই তেলকারবারী বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাতিজা বহু অপকর্মের হোতা চিন্থিত প্রতারক যুবলীগ নামধারী পারভেজ প্রধান।
এরা উভয়েই স্থানীয় সংসদ পুত্র অয়ন ওসমানের অনুসারী বলে পরিচয় দেয় এবং ছবি তুলে তা প্রচারও করে বলে অভিযোগ রয়েছে ।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মতে, তক্কার মাঠ এলাকার সন্ত্রাসী শামিমের সহোযোগি মিলন বেশ কয়েকদিন পূর্বে দুবাই যায়। সেখান থেকে ৬ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসে। দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসার সময় মিলনের এক নিকটাত্নীয় তার বোনের বিয়ের জন্য ১০ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার দিয়ে দেয়। মিলন দেশে এসে সেই স্বর্ন ফিরিয়ে না দিয়ে আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করে। এবং তার আত্নীয় কে নানা অসংলগ্ন কথা বার্তা বলে। এতে করে ঐ আত্নীয়ের পরিবারের সদস্যরা পারভেজ প্রধানের শরনাপন্নের পাশাপাশি থানা পুলিশের আশ্রয় নেয়। রোববার রাতে এ বিষয় নিয়ে থানায় বসে মিলন সহ দুবাই প্রবাসীর স্বজনেরা। সংবাদ পেয়ে পারভেজ প্রধান তার বেশ কয়েক সহোযোগি কে নিয়ে থানা গেইটে অবস্থান নেয়। মিলন থানা থেকে বের হলে তাকে পারভেজ গ্রুপ আটক করবে। অপর দিকে শামীম বিষয়টি জানতে পেরে হোন্ডা ও অটো রিক্সাযোগে ৩০-৪০ জনের দল নিয়ে থানা গেইটে আসে। তখন আবার মিলন ও থানা থেকে বের হয়। পারভেজ ও গ্রুপ মিলন কে আটকানোর চেস্টা করলে শামীম গ্রুপ বাধা প্রধান করে। এতে উভয় গ্রুপের সদস্যের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তখন থানার পাশের দোকানী ও আগত সেবা প্রার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরে। অনেকেই দৌড়ে থানার ভিতর আশ্রয় নেয়। শামীম গ্রুপের লোকজন বেশী হওয়ায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে পারভেজ দৌড়ে থানার ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে থানা কম্পাউন্ডের ভিতর থেকে পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে বেরিয়ে এলে শামীম গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা থানার দারোগা হানিফ উল্লেখিতি ঘটনার বিষয়ে জানান, কোন মীমংশা না হওয়ায় উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে যার যার স্বপক্ষের প্রমাণাদি হিসেবে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি। এরপরে থানার বাইরে কি ঘটেছে তা আর বলতে পারবো না।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগর নামধারীদের কান্ড দেখে আতংক ছড়িয়ে পরে থানার সামনে । ফতুল্লা থানার গেইটে এমন নিরাপত্তাহীনতার কারণে খোদ পুলিশের অনেকেই বলেন, থানার গেইটে এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে যা পুলিশের জন্য ই লজ্জাজনক।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামধারী অপরাধীদের থানার গেইটে এমন লংকাকান্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, এমন মারামারি, সংঘর্ষের বিষয় টি আমার জানা নাই কেউ বলেও নাই ।









Discussion about this post