মসজিদে মাইকিং করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে জনতার গণপিটুনিতে মিলন (৩৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, নিহত যুবক ডাকাত দলের নেতা ছিলেন।
তবে অনেকের দাবী, প্রতিহিংসা থেকেই প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা দিনেদুপুরে এমন ঘটনা ঘটাতে গণপিটুনির নাটক মঞ্চায়ন করে সফল হয়েছে । আর গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যু বরণকারী মিলন ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটিগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন ওই এলাকার কাশেম ওরফে চোরা কাশেমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত মিলন আটিগ্রামসহ পুরো ওয়ার্ডজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন। সে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে সোআর অলংকারসহ টাকা-পয়সা লুট করতো।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ওই এলাকার এক মসজিদের ইমামের বাসায় তিনিসহ তাদের একটি গ্রুপ দলবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করেন। এরপর রোববার রাতে তার দলের দুই সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
পরে সোমবার দুপুর ১টার পর একটি মোটরসাইকেলযোগে নিহত মিলন ও জনিসহ তিনজন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহানকে দুটি রামদা নিয়ে হামলা করার চেষ্টাকালে বিক্ষুদ্ধ জনতা মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে মিলনকে গণপিটুনি দেন। এসময় বাকিরা পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় মিলনকে হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন, গণপিটুনির শিকার ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ পন্থায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post